সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী সেঁজুতি হত্যার ঘটনার ৮দিন পর তার প্রেমিক কলেজ ছাত্র আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আটকের পর আব্দুর রহমান তার স্বিকারোক্তিতে দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রোববার রাত ১০ টায় দিকে কলারোয়া পৌরসভার আফজালের মোড় থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তার আব্দুর রহমান কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের
এ ছাড়া সেঁজুতির বাবা সোহরাব হোসেন পলাশ, বিল্লাল হোসেন ও আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় জানান, রোববার রাত ১০ টার দিকে আফজালের মোড় থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহমান জানায় যে, সেঁজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার (সেজুতির সাথে ) অন্য ছেলের সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহে তাকে ধাক্কা দেয় রহমান । একটি বাড়ির প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে সেজুতি। এরপর গলায় ওড়না পেচিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পানির ড্রেনের উপর ফেলে যায় সে।আব্দুর রহমান তার প্রেমিকা সেঁজুতিকে হত্যার কথা স্বীকার করে সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম মোঃ সালাহউদ্দিনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মাহাবুবর রহমান বলেন, আব্দুর রহমানকে সোমবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।