রৌমারী ( কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি)
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বন্দবেড় গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদ মুন্সির বাড়ির সামনে রাস্তার ভাঙ্গায় নির্মিত একটি ত্রানের ব্রীজ নির্মানের ২ বছরের মধ্যে দেবে ২০ বছর ধরে প্রানহীন অবস্থায় পরে আছে। এলাকাবাসির অভিযোগ ব্রীজটির সংযোগ সড়কের দুই পাশের মাটি ভরাট না করা ও ব্রীজটি নির্মাণে নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় ব্রীজটি বন্যার পানির সাথে দেবে যায়। ফলে দীর্ঘ দিনের চরমভোগান্তি শেষ হয়েও হলোনা এলাকাবাসির।
রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫৮ টাকা ব্যয়ে বন্দবেড় ইউনিয়নের ছামাদ মুন্সির বাড়ির পাশে বন্যায় ভেঙে যাওয়া সড়কে ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে গেলে রৌমারী গ্রামের মাহফুজ বলেন, ২০০২ সালে ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মানের ২ বছরের মধ্যে ২০০৫ সালে বন্যার পানির সাথে ব্রীজটি দেবে যায়। ব্রীজটি দেবে যাওয়ায় পথচারীদের যেমন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তেমনি ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষিপন্য নিয়ে বিপাকে এলাকাবাসি। ফলে শুকনা মৌসুমে বিকল্প সড়কে ও পাশের ফসলের মাঠ দিয়ে যাতায়াত করতে হয় আর বর্ষামৌসুমে জনগণের সেচ্ছাশ্রমে নির্মান করা হয় বাশের স্যাঁকো এভাবেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। দূর্নিতীর কারণে আমাদের দূর্ভোগ যেন শেষ হয়েও হলো না।
একই গ্রামের আবুল কাসেম , মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, ব্রীজের সংযোগ সড়কের দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় বন্যার পানির ¯্রােতে সেতুর দুই পাশে বড় গর্তের সৃষ্টি হলে দেবে যায় সেতুটি। এছাড়াও সেতুটি নির্মাণে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ওই সময় আমরা অনেক বাধা দিয়ে ছিলাম কিন্তু আমাদের কথা কানেই নেয়নি ঠিকাদার। পরে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক ভরাটের মাটি না পাওয়ার অজুহাতে সড়কের কাজ শেষ না করেই চুড়ান্ত বিল নিয়ে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণের ২বছরের মধ্যে সেতুটি ভেঙ্গে যায়, ফলে সরকারের টাকা খরচ হলেও তার কোনো সুফল পায়নি জনগন। এখন সরকারের কাছে আমাদের দাবি জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে ওই স্থানে দ্রুত টিকসই একটি ব্রীজ নির্মাণের।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, বন্যার পানির প্রবল স্রোতে সেতুটির দুই পাশের মাটি সরে গেলে সেতুটি দেবে যায়। সেখানে নতুন করে সেতু নির্মানের জন্য ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে টেন্ডার আহবান করা হবে
Leave a Reply