ঝিনাইদহের হরিবাকুন্ডু উপজেলায় সোমবার (১১ এপ্রিল) রাত ৯ টাই স্থানীয়দের হাতে আটক হয় শিতলী গ্রামের মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে আরজান(৪৫) ও হরিশপুর গ্রামের ঝড়ু মন্ডলের মেয়ে ডালিমা নেছা (৩৮)। লোকজনের উপস্থিত টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় আরজানের সহচর ইব্রাহীম (৩৫)।
ইব্রাহিম ও আরজান উভয়েই হরিণাকুন্ডু হলবাজার সংলগ্ন ঘোষের কাঠ ফাড়াই করা মিলে দিনমজুরির কাজ করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,হরিণাকুন্ডু বাজার মসজিদের পাশে খালেক মুন্সীর বাড়িতে আরজান ও ইব্রাহীম তাদের সাথে থাকা ডালিমা ও পূর্নিমাকে তাদের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে ৫মাস ধরে বসবাস করে আসছিল।
সম্প্রতি ডালিমার নামে একটা জালিয়াতি মামলার তদন্তের জন্য থানা থেকে পুলিশ আসলে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহল জন্মনিলে
রাত ৯ টাত দিকে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে আরজান ডালিমাকে নিজের বিবাহিত স্ত্রী বলে পরিচয় দিলেও পরবর্তিতে সে স্বীকার করে যে ডালিমাকে রোজার পরে বিয়ে করবো এই মর্মে তার সাথে রাত্রি যাপন করে আসছে।তারা এখনো কোন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়নি।
এদিকে পালিয়ে যাওয়া ইব্রাহীম বিষয়ে ভুক্তভোগী পৃনিমার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বলে আমি হিন্দু পরিবারের সন্তান।ইব্রাহীম আমাকে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ একবছর যাবত শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।কিন্তু বিয়ের কথা বল্লেই সসে নানান বাহানা শুরু করে। তার আসল উদ্দেশ্যে বুঝতে পেরে তাকে ছেড়ে হরিণাকুন্ডু থেকে পলায়ন করি।আগের স্বামী আমাকে ছেড়ে দেওয়ার বর্তমানে আমি আমার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছি।
খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার আবু সাইদ রুনু ঘটনা স্থানে এসে থানাই ফোন দিলে এস আই শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আসলেও অপরাধীদের শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।