লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রতারণা করে বুদ্ধীপ্রতিবন্ধী ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে তানজিনা আক্তার আর্জিনা নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রীর জীবন নষ্টের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত গৃহবধু রামগঞ্জ উপজেলা বদরপুর গ্রামের খরুল্যা বাড়ীর মোঃ তছলিম হোসেনের মেয়ে।
বদরপুর গ্রামের মুসলিম হাজি বাড়ীর মৃত মোহাম্মদ উল্যার ছেলে ডাঃ আলীম উদ্দীন ও তার স্ত্রী মানছুরা রেনুর মাতাব্বরিতে মানছুরা বেগম ( রেনু ) এর বোনের ছেলের সাথে । বিগত ১৭/০৯/২০২০ইং তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে তানজিনা আক্তার আর্জিনার সাথে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা বিজয়নগর গ্রামের বাগবাড়ীর মোঃ শরীফ হোসেন পিতা মোঃ শফি ছেলে বিবাহ হয়। বিয়ের পর কন্যাকে স্বামীর বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযুক্ত তানজিনা আক্তার আর্জিনা জানায়, ১ম দিন চোরের ভয় দেখিয়ে তার পিতার দেওয়া সকল স্বর্নালংকার তার কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া তার শশুর শাশুড়ি । ১ম রাতরেই শরীফের সামনেই আমার শশুর, শাশুড়ি আমার গায়ে হাত তোলা।
সে আরো জানায়, সে স্বামীর বাড়ীতে গিয়ে জানতে পারি সে বুদ্ধীপ্রতিবন্ধী লোক। সে কার সাথে কি আচরণ করবে সে নিজেও জানেন কখন । তার স্বামী তার সাথে কি আচরণ করবে তাও জানে না৷
সে তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানালে তার মা-বাবা একাধিক বার ঘরোয়া পরিবেশে বৈঠক করে সমাধা করতে চেয়েছেন কিন্তু তার স্বামীর পরিবার তা একাধিক বার সমাধা না করে অভিযুক্ত তানজিনা আক্তার আর্জিনাকে মা'র ধর করে তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় । বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে যেতে । তার বাবা মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি করলে । তাঁরা স্বপরিবারে চট্টগ্রাম চলে যায়৷
অতপর তানজিনা আক্তার আর্জিনার পরিবার সুস্থ সমাধানের জন্য ঘটক ডাঃ আলিম উদ্দীন ও তার স্ত্রী মানছুরা বেগম রেনুকে বললে কোনো প্রকার কর্নপাত না করে তাদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়। স্বামীর পরিবারের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ নেই ।
অভিযুক্ত তানজিনা আক্তার পিতার দেওয়া স্বর্নালংকার, পালকিরসাজ ও বিবাহ খরচের ক্ষয়ক্ষতির টাকা জদি কখনো দাবি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলেও হুমকি দেয়। সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে একাধিক বার ১ নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু কাছে সমাধানের জন্য অভিযুক্ত তানজিনা আক্তার ১নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করলেও একাধিক বার তারিখ দিলেও তারা আসেনি ।
এই বিষয়ে একাধিক বার মোঃ শরীফ হোসেন ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে বদপুর বিছমিল্লাহ ফার্মেসী তে ডাঃ আলিম উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কারো সাথে কথা বলতে রাজি না বলে জানান তিনি বলেন আমি আদালতে মামলা করেছে যা হবে কথা আদালতে হবে।
তানজিনা আক্তার আরজিনা বাবা মোঃ তছলিম হোসেন বলেন গ্রাম্য ভাবে বিষয়টা সমাধান করতে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা কাউকেই মানছেন না উল্টো এই বিষয়ে কোন বাড়াবাড়ি করলে বিভিন্ন হুমকি ধুমকি দিচ্ছেন আমি এখন পরিবার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি কি করব কিছুই বুঝতেছিনা।