বিকাশ রায় বাবুল, নীলফামারী : নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় গত কয়েক বছরের তুলনায় মরিচ চাষ কম হলেও ,এবারে ফলন ভালো হয়েছে। চলতি মৌসুমে মরিচের বাজার দর ভালো থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে চাষীরা।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে মরিচ চাষীদের সাথে আলাপচারিতায়,হরিণচড়া ইউনিয়নের কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, এবারে ৭ বিঘা (২একর ৩৩ শতাংশ) জমিতে জিরা মরিচ চাষ করেছি। বর্তমান বাজারে প্রতি মন মরিচ বিক্রি করছি ২ হাজার হতে আড়াই হাজার টাকায়। গত বছর এই সময়ে প্রতিমন মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৪শত হতে ৬শত টাকায়। এবারে ২ হাজার ৫শ হতে ২ হাজার ৬শত টাকায় মরিচ বিক্রি করতে পেরে খুব খুশি লাগছে।
বামুনীয়া ইউনিয়নের আব্দুস সালাম জানান, মরিচ চাষে প্রতি বিঘায়(৩৩শতক) জমিতে উৎপাদন খরচ দাড়ায় ১৮ হতে ২০ হাজার টাকা এবং প্রতি বিঘায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে গড় ৭ হতে ৮মন মরিচ ক্ষেত হতে তোলা যায়। বাজারে ১৮ হাজার টাকা হতে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। তবে মরিচ তোলা বাবদ প্রতিমন ২শত হতে আড়াই শত টাকা ও পরিবহন খরচ হয় প্রতিমনে ৫০টাকা।
বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক অনীল চন্দ্র রায় বলেন, বাংলা সনের বৈশাখ ও জৈষ্ঠ এই দুই মাস পর অধিক বৃষ্টি ও মরিচ গাছের বয়স হওয়ায় মরে যায়। শেষ সময়ে ফলন কমে যায়। তবে বর্তমান বাজার দরে উৎপাদন খরচসহ অধিক লাভবান হওয়া যাবে।
এছাড়াও এবারের মরিচ চাষী সুধেন চন্দ্র, মোস্তাকিন, ভুবন চন্দ্র, সুরেন্দ্রনাথ, সুনিল রায়, দুলাল চন্দ্র রায় জানান, এবছরের মরিচের দাম ভালো থাকার ফলে আগামী বছরে এই উপজেলায় মরিচ চাষবাদ বাড়বে বলে মনে করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আনিছুজ্জামান বলেন, এবারে সাড়ে ৭শত হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় কৃষকরা মরিচের ভালো দাম পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ মরিচ ক্ষেতের রোগবালাই সম্পর্কে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে। সঠিকভাবে চাষাবাদের জন্য উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। দাম ভালো থাকায় অন্যান্য ফসলের সাথে সাথে মরিচ চাষেও কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
Leave a Reply