কুমিল্লায় সাংবাদিক মহিউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কুমিল্লার গোলাবাড়ি সীমান্তে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। র্যাব-১১-এর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত রাজুর লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। রাতে গোলাবাড়ি সীমান্তে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে রাজু।
নিহত রাজু (৩৫) কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে।র্যাব-১১ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে রাজু গোলাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে। পরে র্যাব সেখানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে থাকে রাজু। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে রাজু নিহত হয়।কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন বলেন, রাজু নামে এক ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রেখে গেছে র্যাব।
এ ঘটনায় জোবায়ের নামের র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম ও চিকিৎসক নাফিস।এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, গোলাবাড়ি সীমান্তে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি রাজু নিহত হয়েছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবে র্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডার। তবে এ বিষয়ে জানতে র্যাব-১১-এর সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বুড়িচং উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারকে গুলি করে পালিয়ে যায় মাদক কারবারিরা।
তাকে স্থানীয় দুই যুবক বিজিবির সহায়তায় উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) এ ঘটনায় নিহত মহিউদ্দিন সরকারের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে রাজুকে প্রধান আসামি করে আট জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।