ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন— রানীশংকৈলের বলাঞ্চা গ্রামের কমির উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী ও বদির উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী। উপজেলার চন্দন চৌহাট গ্রামের কতিব উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কোফিল উদ্দীন। দণ্ডিতদের মধ্যে দুই জন পলাতক রয়েছেন। আসামি সিকেন্দার আলী ও ইউসুফ আলী।
আসামি নজরুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন, ইউনুস আলী, আব্দুল জলিল এবং সেকেন্দার আলী ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তাদের প্রত্যেকের এক মাসের অতিরিক্ত সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খলিলুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন ও মজিবর রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী আব্দুল হামিদ জানান, ১২ বছর আগে অর্থাৎ ১৪ মার্চ ২০১০ সালে ভুট্টা ক্ষেতে একটি মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন, যার তদন্তভার একই থানার অপর এসআই মো. আতিকুল ইসলামের অপর অর্পিত হয়। তিনি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করলে গ্রেফতার আসামির বর্ননা মতে ইট ভাটা হতে এক মস্তকের কঙ্কাল উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার এসআই মো. ফরহাদ আলীর ওপর অর্পিত হলে তিনি ৮ জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে জেলা সিআইডি’র পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে ৮ জনকে প্রাথমিকভাবে দোষী করে পুনঃচার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তকালে আসামি মো. ইউনুস আলী, মো. আব্দুল জলিল ও মো. কফিল উদ্দীন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সন্তুষ্টু বলে জানান ।