পাবনা প্রতিনিধি :
পাবনার সাঁথিয়ায় কিস্তির চাপ সইতে না পেরে স্বামীর সাথে অভিমান করে ইতি খাতুন (২৯) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে। ইতি ওই গ্রামের ইকবালের মেয়ে ও কাঠ মিস্ত্রি আজিজুল হকের স্ত্রী। তার ৬বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
থানা ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮বছর আগে হাসান পুর গ্রামের ইকবালের মেয়ে ইতি খাতুনের বিয়ে হয় একই গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি আজিজুল হকের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তার পরিবারে অভাব অনটন দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ব্যুরো বাংলাদেশ নামে একটি এনজিওর বনগ্রাম শাখা থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা সে ঋণ তুলে দেয় স্বামীকে। কিন্তু কিস্তি দেয়ার দিন এলেই স্বামীর সাথে ইতির ঝগড়া লেগে যায়। মাঝে মাঝেই কিস্তির সমস্যা হলেই তার বাপ ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসে কিস্তি দিত ইতি।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এনজিও ব্যুরো বাংলাদেশ বনগ্রাম শাখা থেকে কিস্তি নিতে -আসে ইতির বাড়িতে। এ সময় কিস্তির টাকা নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়। এর পর সে টাকার জন্য পাশেই অন্য পাড়াতে তার বাবা মার বাড়ি সেখানে যায়। সেখানে কারও নিকট টাকা চাইতে সাহস না পেয়ে ফিরে এসে সবার অগোচরে নিজ ঘরের শয়ন কক্ষে আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
ইতির ভাই হাবিল জানান, আমরা দুইভাই বোন জমজ। ও আমার ছোট। ৩ ভাইয়ের একটি মাত্র বোন। আমি দোকানদারী করি চিনাখড়া বাজারে। ওই দিন সকালে নাকি আমাদের বাড়িতে আসছিল। কিন্তু কাউকে কিছু বলে চলে গেছে । ও টাকা চাইলেই পারতো। আমাকে বললেই পারতো। ওকে তো আমরা চাইলে টাকা দেই সাধ্য মতো। কিন্তু আজ কেন যে বলল না এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধা রাতে লাশ উদ্ধার করে থানায় লাশ ঘরে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে ইতির ভাই হাবিব বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।