সম্প্রতি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছেন বাংলাদেশি হাফেজে কুরআনরা। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতি বছরই কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী হাফেজে কুরআনরা তারাবির ইমামতি করে লাল সবুজের পতাকা ও বাংলাদেশের মান সম্মান বৃদ্ধি করে চলেছেন। চট্টগ্রাম থেকে সমাপ্ত হওয়া হাফেজে কোরআনরা সেই সম্মানকে সামনে রেখেই সৌদি আরবের প্রায় মসজিদে তারাবি পড়িয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমানের পাশাপাশি দেশের মুখ উজ্জল করছেন।
চট্টগ্রামের ছেলে সৌদি প্রবাসী হাফেজ মাওলানা মোঃ তৌহিদুল ইসলামের তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ চট্টগ্রামের হাফেজে কুরআনরা সৌদিতে তারাবির ইমামতি করে লাল সবুজের পতাকা ও বাংলাদেশের মান সম্মান সর্বদা বৃদ্ধি করেছেন। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সৌদিআরবে প্রবাস জীবনে আছি। এবার মনে ভিন্নরকম প্রশান্তি পাচ্ছি। বিভিন্ন সৌদি মসজিদে চট্টগ্রামের হাফেজে কুরআনরা তারাবির নামাজ পড়াচ্ছে। তাদের কন্ঠে কুরআন তেলাওয়াত শুনে সৌদি সহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা সন্তুুষ্টি প্রকাশ করছে। এতে নিজের দেশের হাফেজদের যোগ্যতা ও আত্মবিশ্বাস দেখে গর্বে বুক ভরে উঠে।
এবারও শতাধিক চট্টগ্রামের হাফেজে কুরআন সৌদিতে তারাবি ও নামাজের ইমামতি করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম জেদ্দার আল বাওয়াদী মসজিদে রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা গ্রামের হাফেজ ক্বারী ইব্রাহীম।সৌদির মাহাইল আছির মসজিদুল ফালাহ মসজিদে বাঁশখালী বড়ঘোনা গ্রামের হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। আবাহা সৌদি আরব জামে আবু বকর মসজিদে সাতকানিয়ার হাঙ্গরমুখের মাওলানা জমির উদ্দিন। জেদ্দার মসজিদ আল ফারুকে ইমামতি করছেন সাতকানিয়ার ছমদর পাড়ার মাওলানা ক্বারী রায়হান উদ্দীন। সৌদি আরবের জামে আবুবকর মসজিদে সাতকানিয়ার হাঙ্গরমূখ গ্রামের হাফেজ তাওহিদুল ইসলাম। সৌদি আরবের মাহাইল আছির উসমান বিন আফফান (রাঃ) মসজিদে দোহাজারীর হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস মোসলেহ। সৌদির জামে কানাহ্ বিলা মসজিদে চন্দনাইশের দোহাজারীর হাফেজ এমদাদুল্লাহ। সৌদির জামে আল বুরুজ এয়ারফোর্ট মসজিদে বাঁশখালীর বৈলছড়ি গ্রামের হাফেজ হুদ। সৌদির তায়েফে চন্দনাইশের দোহাজারীর হাফেজ মাওলানা মুজাহিদ উল্লাহসহ প্রমূখ।