অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী-সন্তানসহ স্বজনরা। পথিমধ্যে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটির। এতে স্বামী আয়নাল হক (৪৫) নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের ছেলেসহ আরও তিনজন। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা নামক স্থানে।
আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনায় নিহত আয়নাল হক গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।ওই ঘটনায় আহতরা হলেন- একই জেলা ও উপজেলার মকবুল হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (১০) নিহতের ছেলে ফিরোজ আলী (৩০) ও পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার অ্যাম্বুলেন্স চালক দ্বীন ইসলাম (৩৫)।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা নাদের হোসেন জানান, সোমবার বেলা ৪টার দিকে বগুড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকায় যাচ্ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি মহাসড়কের উপজেলার ঘোগা নামক স্থানে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তি নিহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাদের বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থান্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ফিরোজ আলী জানান, গুরুতর অসুস্থ মাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই মারা যান তিনি। অ্যাম্বুলেন্স যোগে মায়ের লাশ নিয়ে গ্রামে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তার বাবা আয়নাল হকও মারা গেছেন জানান তিনি।
জানতে চাইলে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক-হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে আটক করা যায়নি। তবে বাস ও অ্যাম্বুলেন্স জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।