নিজস্ব প্রতিবেদন
নওগাঁর মান্দায় সতিহাট বাজারের প্রান্ত বেকারির অবৈধভাবে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করায় স্বত্বাধিকারী মোঃ আবুল কাশেমকে দোকান ঘর অপসারণ করার জন্য ১৫/০৭/২০২০ইং তারিখে নোটিশ দেন মৈনম- গনেশপুর ইউনিয়নের, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা( ভারপ্রাপ্ত) এস এম এনামুল হক । নোটিশে উল্লেখ করা হয়,মো: আবুল কাশেম পিতা মৃত- আছির উদ্দিন গণেশপুর, মান্দা, নওগাঁ।এতদ্বারা আপনি সদয় অবগতির জন্য জানানো যায় যে, নিম্নে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সরকারের খাস খতিয়ান ভুক্ত এবং সায়রাতভুক্ত সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তিতে আপনি অবৈদভাবে পাকা ঘর করে নিচ্ছেন।
এমতাবস্থায়, নোটিশ প্রাপ্তির ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে উক্ত স্থাপনা (পাকা ঘর) নিজ খরচে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলো। অন্যথায় সরকারী বিধি মোতাবেক উচ্ছেদ সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তফসিল জেলাঃ নওগাঁ। উপজেলাঃ মান্দা। মৌজা- শ্রীরামপুর, জে এল নং- ৯২ খঃ নং -১,দাগ নং- ১১৫, ৬০৭ শ্রেণীঃ হাট খাল,পরিমাণ -৫৩৪,৯২৬= ১৪,৬০ কাতে ২০ বর্গমিটার।নোটিশের প্রায় দুই বছর পার হলেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
স্থানীয় দোকানদার সূত্রে জানা যায়, প্রান্ত বেকরির পাকা ঘর নির্মাণের পূর্বে ওই জায়গায় সরকারি টিনের সেড (হাটের চালাচালি) নির্মাণ করা ছিল। সেখানে আখ এবং খেজুরের গুড় ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন দোকান করত হাটবার ব্যতীত। হাটের দিনে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা মিষ্টি মিষ্টান্ন দোকান করত। সরকারি টিনশেডের জায়গা দখল করে বেকারের পাকা দোকানঘর নির্মাণ করায় মিষ্টি ও গুড় ব্যবসায়ীদের চরম সমস্যার মধ্যে দিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে।
পাকা দোকানঘর উচ্ছেদের নোটিশ বিষয়ে জানতে চাইল স্বত্বাধিকারীর ছেলে মোঃ পান্ত এই প্রতিবেদকে জানান, নোটিশ পেয়েছেন কিন্তু কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন এবং অসৎ উপায়ে বিভিন্ন রকম হুমকিসহ ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
মৈনম-গনেশপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস এম এনামুল হক বলেন, পাকা ঘর নির্মাণের বিষয়টি জানতে পারলে আমরা স্বত্বাধিকারী কে পাকা দোকান ঘর উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করি এবং বিষয়টি অতীব জরুরী উল্লেখ করে,অনুলিপিঃ সদয় অবগতি ও কার্যার্থে সহকারী কমিশনার (ভূমি), মান্দা, নওগাঁ বরাবর প্রেরণ করি।পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), মান্দা হতে নির্দেশনা না পাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।এ বিষয়ে যে কোন নির্দেশনা পেলে সে নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সতিহাটের পান্ত বেকারির পাকা ঘর উচ্ছেদের নোটিশ প্রদানের বিষয়টি আমার যোগদানের পূর্বে, তাই জানা ছিলনা। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।