মোঃ সাহানুর ইসলাম
ইদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইদকে সামনে রেখে তাই বাড়তি আয়োজন থাকে নগরীর শপিংমল গুলোতে। গত দুইবছর করোনা সংক্রমণের কারনে ছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা। শপিংমল ও দোকানপাট গুলো ছিল বন্ধ। ইদে তেমন কোন আয়োজন ছিল না, ছিলনা রমজান মাসে মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ আদায় করার অনুমতি।
তবে এইবছর করোনা সংক্রমন কমে আসায় মানুষের চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে।
ফলে বাড়তি চাপ পড়েছে নগরীর রাস্তাগুলোতে। অন্যদিকে রাজশাহীতে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ কমাতে সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সবুজ রঙের অটোরিকশা এবং দুপুর ২ টার পর থেকে লাল রঙের অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।।
তবে এই নিয়মে খুব একটা যানজট কমানো সম্ভব হয়নি!! কারন যারা ভাড়া গাড়ি চালায় তারা সকালে সবুজ রঙের আর বিকেলে লাল রঙের গাড়ি চালায়। ফলে এই নিয়মকে কিছুটা পাশ কাটিয়ে চলছে চালকরা।
চালকরা বলছে একবেলা গাড়ি চালালে কোনদিন ভালো ভাড়া হয় আবার কোনদিন ভাড়া হয় না যার ফলে ভোগান্তিতে পড়ে তারা। পরিবারের ৭/৮ জন সদস্য নিয়ে একবেলা কাজ করলে হয়না। ফলে কিছু চালক বাধ্য হয়েই এই নিয়মে গাড়ি চালায়।
রাজশাহীতে যানজটের অন্যতম কারন হিসেবে অদক্ষ অটো চালককে দূষছেন নগরবাসী। যেখানে সেখানে গাড়ি পাকিং, হুটহাট ব্রেক করা এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করা যানজটের অন্যতম কারন।
বিশেষজ্ঞরা বলছে অদক্ষ চালকের ফলে দিনদিন বাড়ছে দূর্ঘটনার সংখ্যা। বিআরটিএ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্তক না হয় তাহলে এই সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও অনেক বেশি হারে বাড়তে পারে।
সাধারনত রাজশাহীতে যানজট তেমন দেখা যায় না। তবে ইদকে সামনে রেখে রাস্তায় কিছুটা যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রাজশাহী ট্রাফিক বিভাগ বলছে খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করা হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং হচ্ছে।