মোঃ সাহানুর ইসলাম
পিতা বাবু উত্তম কুমার পালের দুই সন্তান বিসিএস ক্যাডার। ইদের ছুটিয়ে বাড়িতে এসে হাল ধরেছে বাবার সেই ক্ষুদ্র মিষ্টির দোকানের।
আড়ানির পৌর বাজারের ফুটপাতের সেই মিষ্টির দোকানে যেন বসেছে চাঁদের হাঁট।
তাদের দুই ভাই আড়ানী উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।
অমিত কুমার পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পরে তিনি ৩৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করে সান্তাহার সরকারি কলেজে যোগদান করেন।
অপর ভাই মৃনাল কুমার পাল মিঠন এমবিবিএস শেষে করে রংপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন।
ইদের ছুটিতে বাড়িতে এসে দুইভাই কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে লেগে পড়েছেন বাবার সাথে।
ইদের কারনে এখন বেচা-বিক্রি ভালোই হচ্ছে। এদিকে ছেলেরা কাজে লেগে পড়ায় বাবা কিছুটা ছুটি পেয়েছে।
ছেলেদের এমন কাজ দেখে খুশিতে ভাসছেন এলাকাবাসী। বাবা-মা খুশিতে আত্মহারা।
ছেলেরা বলছেন পৃথিবীতে কোন বাবার কাজই ছোট না।। তারা গর্বের সাথে তাদের বাবার কাজে সাহায্য করছে। বর্তমান সময়ের যুবকদের উচিত বাবা মায়ের পেশা গর্বের সাথে সবার সামনে বলা এবং সবসময় বাবা মায়ের পাশে থাকা।
পিতা বাবু উত্তম কুমার জানান সন্তানদের অনেক কষ্ট করে, খেয়ে না খেয়ে মানুষ করেছেন তিনি। কখনও ভালো পোশাকও তাদের কিনে দিতে পারেনি। অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছে। তারা আমার সোনার সন্তান। তাদের খুশিতেই আমরা খুশি।
Leave a Reply