বার্তা প্রধান এবি মিজানুর রহমান :
আজ ঈদের দিন বিকালে ঘুড়তে গেলাম পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলায় কিন্তু ঘুরতে গিয়ে বিধিবাম পুরো রাস্তায় হাজার হাজার বাইক। এমনকি ১২/১৩ বয়সের শিশুরাও মোটর সাইকেল চালাচ্ছে।
আমার চোখের সামনে সাঁথিয়া থেকে ভাঙ্গুরা রোডে দুইটা বাইক দূর্ঘটনা ঘটছে যদিও বাইকারের কোন ক্ষতি হয়নি। তারা যখন বাইক চালায় কিছু কিছু বাইকার নিজেকে রাজা বাদশা মনে করে এমন ভাবে চালায় মনে পুরোটা রাস্তা তার।
ভাঙ্গুরা গুমানি নদীর উপর অবস্থিত ব্রিজের পাশে যখন পৌছালাম তখন ৩০ মিনিট জ্যামে আটকে গেলাম। প্রায় ৩ কিঃমিঃ জ্যাম ৯০% গাড়ি ছিল মোটর সাইকেল। শত শত মোটর সাইকেল দেখে মনে হল দেশে মনে হয় কোন গাড়িই নাই।
পরে অবশ্য পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় জ্যাম থেকে মুক্ত হই। তার একটু সামনে গিয়েই দেখি দুটো বাইক ভ্যানে করে নিয়ে আসছে। জানতে চাইলাম কি হয়েছে পাশ থেকে একজন বলল একটা মেয়ে দেখে ভাব নিচ্ছিল তাই পল্টি খাইছে।
ছেলেটার কথাটা শুনে হাসলাম। এরা বাইক চালায় নাকি ইভটিজিং করে কিছুই বুঝিনা। এরকম অদক্ষ, শিশুদের হাতে বাইক তুলে দেওয়ার মানে কি?
যদিও পরিবারের কিছু করার থাকেনা কারন আমি বেশ কয়েকটা নিউজ দেখেছি ছেলে বাবার কাছে বাইক চেয়েছে কিন্তু বাবা কিনে দিতে পারেনি তাই ছেলেটা আত্মহত্যা করেছে। চাপে পড়ে পরিবার এদের অবাঞ্ছিত অবদার মেনে নেয়।
সকল সম্মানিত বাবা মায়ের প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনার ছেলের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মোটর সাইকেল কিনে দিবেন না। হয়তো এই মোটর সাইকেল আপনার ছেলে জীবনটা শেষ করে দিবে অথবা পঙ্গুত্ব বরন করে অপলোক দৃষ্টিতে আপনার দিকে চেয়ে থাকবে।
নিজে সচেতন হন অপরকে সচেতন করেন।