মোঃ সাহানুর ইসলাম।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানাে রুটি! ক্ষুধার্ত ব্যক্তির কাছে পৃথিবীর সবকিছুই যেন তুচ্ছ। ক্ষুধার সাথে কোন কিছুরই যেন তুলনা হতে পারে না। মানুষের এত ব্যস্ততা এত দৌড়াদৌড়ি সব কিছুর মুল উদ্দেশ্য এই মহাশয় পেটকে ঘিরেই।
তবে অনেকের কাছে এই বেঁচে থাকার যুদ্ধে পেটের ক্ষুধাই যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে। দুইবেলার খাবার যোগাড় করতেই পথের এই মানুষগুলোর ভীষণ কষ্ট হয়ে যায়।
খেয়ে না খেয়ে জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে রয়েছে কেউ কেউ।
এই মানুষগুলোর কান্না শোনার মত কান যেন আামাদের কারোর নেই।
তবে আবুল বাসার সুজন এমন একজন মানুষ যে মানুষটি ছুড়ে এসেছে, তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ছিন্নমূল মানুষের পাশে। ইদ উপলক্ষে তিনি প্রায় ৮০০ জন মানুষকে আহারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
তরিকুল নামের ঘরছাড়া ১০ বছরের শিশুটি না খেয়ে ছিল সারাদিন। তবে সুজনের এই উদ্যোগে বাচ্চাটিকে আজকে আর না খেয়ে থাকতে হবে না। তার মুখের এই হাসিটাই যেন সুজনের পরিবার দেখতে ছুটে এসেছিল।
সুজনের ছোট্ট মেয়েটাও বাবাকে সাহায্য করছে খাবার বিতরনে। অসহায় মানুষের প্রতি এখন থেকেই এমন কার্যক্রম ভবিষ্যতে তাদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে বলছেন মানসিক বিশেষজ্ঞরা।