বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের ঘটনা এরিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এঘটনায় সিভিল সার্জনের নির্দেশে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আর,এমও ডাঃ মনিরাকে আহবায়ক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকা ক্যাম্পে শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত মহিলা আনসার সদস্য মর্জিনা বেগম টিকা প্রদান করছেন। স্থানীরা জানায়, মহিলা আনসার সদস্য মর্জিনা বেগম টিকা নিতে আসা মানুষদের ভীড়ের শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি, টিকা দান দেখতে দেখতে সে টিকাদান কার্যক্রম সম্পৃক্ত হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এবং এঘটনার খবর শুনে সরেজমিনে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে ওই আনসার সদস্য টিকাদান কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা দেখা যায়।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জেরিন জাহেদ জিতি বলেন, আমি ঢাকায় ট্রেনিং আছি। বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এবিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকার সচেতন মহল বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করোনা পরীক্ষা থেকে থেকে শুরু করে ভ্যাকসিন প্রদান, করোনা রোগীদের আইসোলেশনে চিকিৎসায় বাড়তি বরাদ্দ দেয়াসহ নানা উদ্দোগ নিয়েছে সরকার। সেখানে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের ক্যাম্পে ডাঃ না থাকা, বা টিকাদানকর্মীর স্বল্পতা, আর আনসার সদস্য দিয়ে টিকা প্রদানের ঘটনায় দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন? আসনার সদস্য মর্জিনা শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কেনইবা কোভিড -১৯ এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ন ভ্যাকসিন প্রদান করবেন। নাকি কেউ তাকে সম্পৃক্ত করেছে। নাকি কর্তব্য অবহেলার সুযোগ, সুষ্ঠ তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসনার সদস্য টিকাদানে সম্পৃক্ত থাকার প্রকৃত ঘটনা।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আঃ মঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, আনসার সদস্য দিয়ে টিকা দেওয়া এটা অসম্ভব, এটা করার কোন নিয়ম নেই। তবে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।