ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে টানা চার দিন ধরে প্রচন্ড গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে জনজীবন। ক্ষেত খামারে কাজ করা ব্যক্তিরা একটু ছায়া ও মৃদু বাতাসের জন্য হাঁসফাঁস করছেন।এ গরমে পশুরাও অস্থির হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১১ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায় এমন দৃশ্য।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেরার নারগুন ইউনিয়নের পশ্চিম নারগুনে দেখা যায় কয়েকজন শ্রমিক প্রচন্ড রোদে হাপিয়ে গিয়ে ও ক্লান্ত হয়ে বাশ গাছের ছায়ায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক ও কৃষক বিশ্রাম করছেন। একটু পর পর পিপাসায় পানি পান করছেন।
শ্রমিক জয়নাল বলেন, প্রচন্ড রোদে ঘর নির্মানের কাজ ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। তাই কিছুক্ষণ পরপর গাছের ছায়ায় এসে বিশ্রাম নিই ও তৃষ্ণায় পানি পান করছি।
কৃষক স্বপন জানান, বয়স বেশি হওয়ায় আগের মত আর কাজ করতে পারছি না। তারপরে আবার চারদিন ধরে প্রচন্ড রোদ ও গরম শুন্ডু হযয়েছে। ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করতে করতে প্রচন্ড রোদে ক্লান্ত হয়ে গাছের ছায়ায় এসে বসেছিলাম।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সর্বমঙ্গলা গ্রামের দুলাল হোসেন বলেন, ‘গরমের জন্য গরুগুলোও হাঁসফাঁস করছে। মাঠে ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে রাখলে রোদে অস্থিরভাবে ছোটাছুটি করে। তাই গরুগুলোকে মোটরের পানি দিয়ে গোসল করাচ্ছি।’
সদর উপজেলার কৃষক আনসারুল ইসলাম বলেন, ‘এই রোদে আমরা যুবকরাই মাঠে ঠিকভাবে কাজ করতে পারছি না খুবই হাঁপিয়ে যাচ্ছি। যারা বয়স্ক তারা এই রোদে কাজ করে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।’
রানীশংকৈল উপজেলার কৃষক হবিবউদ্দিন বলেন, রোদে কেউ মাঠে কাজ করতে চায় না। তাই শ্রমিকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে খুব অস্বস্থিকর অবস্থায় আছি।
পীরগঞ্জ উপজেলার রবিউল আলম বলেন, ‘রাতে তাপমাত্রা একটু কম থাকলেও সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় প্রচন্ড রোদ ও গরম। বেলা যত বাড়তে থাকে গরমও বৃদ্ধি হতে থাকে।’
ঠাকুরগাঁও জেলায় আবহাওয়া অধিদপ্তর না থাকায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১১ মে সর্বনিম্ন ২২.৬ ও সর্বোচ্চ ৩৫.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়।
Leave a Reply