আবু সাঈদ( বিশেষ করসপনডেন্ট)
পাবনা জেলার এবার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে ছিলনা ঈদের আনন্দ।
তারা কিভাবে ঈদ উল ফিতর পালন করেছে সেটা বিবেকবান সমাজের ভাবার বিষয়।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীগন প্রতিনিয়ত অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে । কিন্তু কতিপয় আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীগন বেশি হয়রানি হচ্ছে। তাই একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমলাতান্ত্রিক সংস্কার প্রয়োজন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবাইকে গত মার্চের বেতন ১৩ ই এপ্রিল ও নামমাত্র বৈশাখী ভাতা ১৮ এপ্রিল উত্তোলিত হয়।
এসকল টাকা দিয়ে তারা কোন মত রমজান মাসটা পারি দেয় কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এপ্রিল মাসে জিও জারি হলেও তারা কেউ বেতন ভাতা তুলতে পারেনি ।
সেই সাথে সরকার বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ঈদের উৎসব ভাতা ২৫% দিয়ে ঈদকে আরও মলিন করেছে।
জিও জারি হওয়ার পরও ব্যাংক গুলো বিল জমা নিতে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। এবার পাবনার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা এপ্রিল মাসের বেতন ভাতা ছাড়াই ঈদ পালন করেছে।
কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা দিব্বি সকল বেতন ভাতা সুযোগ সুবিধা নিয়ে আনন্দে ঈদ উৎযাপন করেছে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার থাকা সত্ত্বেও কেন এ বৈষম্য ? মাননীয় শিক্ষামন্ত্রি কি উত্তর দিবেন?
একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক মোঃ এনামুল হক বলেন এবার টাকা পয়সা ছাড়া ঈদ উৎযাপন করতে হয়েছে ছেলে মেয়েকে কিছু দিতে পারিনি পরিবারে ঈদের আনন্দ ছিলনা ঈদের আনন্দ মলিন হয়ে গেছে। পরবর্তীতে যেন সকল উৎসবের আগে বেতন ভাতা ও ১০০% বোনাস সহ দেওয়া হয় সেজন্য তিনি সরকারের কাছে জোড় দাবি জানান।