রায়পুর(লক্ষীপুর)প্রতিনিধি
প্রায় ১৪ বছর দরে এক্স-রে মেশিন আছে কিন্তু টেকনিশিয়ান নেই জনবল সংকটে রোগীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ হাসপাতালে শয্যা ও ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানো হলেও বাড়েনি জনবল। ফলে নির্ধারিত ক্ষমতার দ্বিগুণ বেশি রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
টেকনিশিয়ান না থাকায় গত ১৪ ধরে অচল হয়ে পড়া এক্স-রে মেশিনটি মরিচা ধরার কারনে তা বাতিল করে গত ২০২০ সনে নতুন একটি ডিজিটাল মেশিন বসানো হয়েছে। অধ্যবদি নতুন ডিজিটাল এক্সরে মেশিনের জন্য টেকনিশিয়ান না থাকায় ব্যহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। আর এদিকে টেকনিশিয়ান থাকলেও ইজিসি মেশিন নেই!
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে, এই হাসপাতালে ল্যাভ টেকনেশিয়ান ৪ জনের পরিবর্তে ১জন দিয়ে চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এবং পরিচ্ছন্ন কর্মী ও আয়া সংকটে রয়েছে হাসপাতাল টি। এ সংকট সমাধানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে প্রতিবেদন পাঠালেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলমের দাবি, তিনি চিকিৎসক ও কর্মকর্তাসহ রায়পুরের সরকারি হাসপাতালে জনবল সংকট সমাধান, হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখা এবং রোগীদের সেবা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।
হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে বর্তমানে ২৪ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ ১৯ জন নার্স রয়েছে।
১ জন মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট, ১ জন স্টোর কিপার, ১ জন অফিস সহকারী, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪ জন এবং ৩৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ৫৫টি পদে ২০ জনের পদ শূন্য রয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে রায়পুর সরকারি এ হাসপাতালে বেডের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি। ফলে তারা প্রায় সময় বেকায়দায় পড়ছেন। ফ্লোরে বিছানা করে দিতে হচ্ছে। তাছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকটও চরম। ফলে পরিচ্ছন্নতার অভাবে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী জানান, এক্সরে মেশিন আছে টেকনিশিয়ান নাই, অন্যদিকে টেকনিশিয়ান আছে কিন্তু ইসিজি যন্ত্র নাই। তাই বাইরে থেকে পরীক্ষা করে ডাক্তারকে রিপোর্ট দিতে হয়। সরকারি হাসপাতালের এক্সরে চালু না হওয়ায় বাইরের ক্লিনিক থেকে তিনগুণ টাকা দিয়ে রিপোর্ট এনে ডাক্তারকে দেখাতে হচ্ছে।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বাহারুল আলম আরো বলেন, বর্তমানে ২৪ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ কর্মকর্তা, নার্স ১৯জন কর্মরত আছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কিছু স্বাস্থ্য সহকারী সংকট আছে। এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া সংকট প্রকোট।
আমরা প্রতিমাসে সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠাই। রোগীদের সেবা করতে জনবল ও রোগীদের সেবার মান বাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাথরুমসহ হাসপাতালকে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কয়েকজন কর্মী রেখেছি।
রায়পুর সরকারি হাসপাতালের আর,এম,ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ-কবির সাহেব হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন।