তাওহীদ আল উসামা, অভয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি
শিল্প বানিজ্য ও বন্দরনগরী নওয়াপাড়ার প্রাণকেন্দ্র স্বাধীনতা চত্বরের যানজট অভয়নগরবাসীর গলার কাটা হয়ে দেখা দিয়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় তিব্র যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এই রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ। নুরবাগ থেকে স্বাধীনতা চত্বর হয়ে টেকারস্ট্যান্ড মোড় পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক দখল করে সারাদিন ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান, পিকাপ, আলমসাধুতে চলে চাল, খৈল, ভূষি লোড আনলোড। বিশেষ করে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা ও বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লোড আনলোড অব্যহত রাখায় যানজট লেগে থাকে বলে জানায় পথচারীরা।
অবৈধভাবে গড়ে উঠা ভ্যান, ইজিবাইক, মটরসাইকেল স্ট্যান্ডের কারণে প্রায় ঘটছে ছোট বড় নানা দূর্ঘটনা। এ নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়াচ্ছে কেউ কেউ। সরকারী-বেসরকারী বেশ কয়েকটি হাসপাতালে যাওয়ার গুরুত্বপুর্ন এ সড়কটিতে সবসময় যানজট লেগে থাকায় প্রায় সময় এ্যম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, নুরবাগ সংলগ্ন চালের আড়ৎ মালিকরা অধিক মোনাফার লোভে দিনের ব্যস্ততম সময়ে চাল লোড আনলোড করছে।
স্বাধীনতা চত্বরের ১’শ গজের মধ্যে গড়ে উঠেছে ভ্যান, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, মটরসাইকেলের ৭/৮টি স্ট্যান্ড, সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে এসব গাড়ির চালকরা। স্বাধীনতা চত্বর থেকে টেকারস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়ক দখল করে খৈল, ভূষি লোড আনলোড চলছে। কোটা গ্রামের মোটরসাইকেল চালক আঃ রহমান লাবিব জানান, এ রোডে চলাচল করার মত কোন উপায় নেই। একবার এ সড়কে ঢুকে পড়লে বের হতে সময় লাগে ৪০/৫০ মিনিট। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী ওঠানামা করা, ভারি মালবাহী গাড়ী সড়কে ডুকে পড়া ও লোড আনলোড যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করদেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবিদ আব্দুল্লাহ নামে একজন ভুক্তভোগী জানান, স্বাধীনতা চত্বরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক জোন নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবী। এসময় দ্রুত স্বাধীনতা চত্বরের যানজট নিরসনে যথাযত কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন নওয়াপাড়াবাসী।