ওমর ফারুক ফটিকছড়ি উপজেলার প্রতিনিধি
রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত মফস্বল শহর পর্যন্ত খেলার মাঠগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে মাঠগুলোকে জড়িয়ে থাকা উচ্ছল শৈশব ও তারুণ্যের উদ্যম।
একদিকে ডিজিটাল যুগে স্ক্রিনমুখী হয়ে ওঠা শিশু–কিশোর ও তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই, অন্যদিকে চোখের সামনে একের পর এক মাঠগুলো নানাভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ১নং বাগান বাজার ইউনিয়নে ২৭ বছরে ঐতিহ্যবাহী একটি খেলার মাঠ নিয়ে এমন উদ্বেগ দেখা গেল।ভবনের জন্য বিকল্প জায়গা থাকলেও মাঠটির উপরই চোখ পড়েছে বিবেচনাহীন কিছু কুচক্রী মহলের লোকদের। এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পরিবেশসচেতন ও ক্রীড়ামোদী স্থানীয় মহলের মধ্যে।
দক্ষিণ মোহাম্মদপুর এলাকাবাসীর একান্তিক প্রচেষ্টায় শতভাগ মাদকমুক্ত শান্তিপ্রিয় এলাকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু তখন এই দখলদার ভূমিদস্যুদের কাউকে দেখা যায়নি
কিন্তু কিছু বহিরাগত এবং সমাজ প্রত্যাক্ষেত কিছু অসামাজিক ও উৎশৃংখল মানুষ মাঠ ও আশেপাশের সরকারী সামাজিক বনায়ন গাছ ও মসজিদটিও ভেঙ্গেপেলারও হুমকি, পুরো জায়গাটিকে নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে ওয়ারিশসূত্রে ভাগ বন্টন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
উল্লেখ্যঃ আগেও কয়েকবার ভাগ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালায়, তৎকালীন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুস্তম আলী।
ও মরহুম হাজী আব্দুর রাজ্জাকের হস্তক্ষেপে সামাজিকভাবে তাদেরকে বয়কট করে, এযাবৎকাল নিজেরা নিজেরা ভাগ বন্টন করার জন্য দূর থেকে চাইলেও মাঠে এসে কথা বলার সাহস করেনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি এই যে, হাজী আব্দুর রাজ্জাক গত কিছু দিন আগে মৃত্যুবরণ করেন, তার কবরের মাটি শুকানোর পূর্বেই দুষ্কৃতিকারীরা দখলের উদ্যেশ্যে দক্ষিণ মোহাম্মদপুর জাগরণ সংঘ নামে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলের চেষ্টা করে, এবং যে স্থানে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটাও তাদের দাবী করে নবনির্মিত মসজিদটিকে মন্দিরের সাথে তুলনা করে ভবিষ্যতে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিয়ে রাখে। তাদের এসব কর্মকান্ডে মানুষ বিব্রতবোধ করছে। স্থানীয় সামাজিকভাবে বাধা প্রদান করলে ভাড়াটে মাস্তানের ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার প্রচেষ্টা চালায়। যার নেতৃত্বে বড় বড় রাঘববোয়াল ও কয়েকজন সরকারি চাকরিজীবীও রয়েছে এই দখলদার ও ভূমিদস্যুদের তালিকায়। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এতে সাধারণ জনগণসহ সচেতন মহল বেশ উদ্বিগ্ন।