স্টাফ রিপোর্টার :
ছাত্রী নিয়ে উধাও ভারেঙ্গা একাডেমির দুই সন্তানের জনক লম্পট শিক্ষক হাসমত হোসেন। পাবনার বেড়া উপজেলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে নিজ স্কুলের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাসমত হোসেন উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে ও ভারেঙ্গা একাডেমির সহকারী শিক্ষক (বাণিজ্য)। শুক্রবার (১৩ মে) ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ভারেঙ্গা একাডেমির সহকারী শিক্ষক হাসমত হোসেনের কাছে স্কুলে প্রাইভেট পড়তো একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী কুশিয়ারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের কন্যা মায়া খাতুন। এলাকাবাসী সুএে জানা যায় রমজান মাসের ছুটির মধ্যে স্কুলে প্রাইভেট পড়াতো লম্পট শিক্ষক হাসমত হোসেন শিক্ষার্থী মায়া কে। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ফুঁসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই শিক্ষক। তিনি গত ৭ বছর পূর্বে বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার কন্যা খাদিজাকে বিয়ে করেন। তার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। অথচ, স্ত্রী-সন্তান থাকার পরেও তিনি তার প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
জানা যায়, গত ৯ মে মায়া খাতুন স্কুলে গেলে স্কুল ছুটির পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। দুইদিন খোঁজাখুঁজির পরে মেয়েকে না পেয়ে মায়ার বাবা ওর সহপাঠীদের কাছে খোঁজ নিলে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষক হাসমতকে ফোন করেন। হাসমত তখন মায়াকে নিয়ে পালিয়ে যাবার কথা স্বীকার করেন এবং তিনি মায়াকে বিয়ে করার কথা জানান। এ কথা শোনার পরেই গত ১১ মে মায়ার বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
ছাত্রীর বাবা রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘হাসমতকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম। তার কাছে আমার কন্যা প্রাইভেট পড়তো। কিন্তু সে যে এতো বড় টাউট, তা আমি জানতাম না। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী এবং আমি মানুষিকভাবে ভেঙে পড়েছি। কোন কর্তৃপক্ষ যদি আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটিকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিত আর ঐ প্রতারকের শাস্তি হত তাহলে এই মুহূর্তে আমারা শান্তি পেতাম।তিনি আরও বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে বারবার গিয়েছি, আমার মেয়েকে উদ্ধারে তিনি কোনপ্রকার সহায়তা করছেন না।
ভারেঙ্গা একাডেমির প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে হাসমত এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আগে কখনও এমন আচরণ ওর মধ্যে লক্ষ্য করিনি। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে, হাসমত নিজ সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীকে নিয়ে পালিয়েছেন। বিষয়টি জানার পরে আমি থানা পুলিশ ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তার বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, আমাদের কাছে মেয়ের বাবা সাধারণত ডাইরী করেছে । যেহেতু মেয়েটি নাবালিকা সেহেতু মানবিক কারণে পুলিশ উদ্ধারের সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
Leave a Reply