এস আর,সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের বর্তমান নারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে দুই রাত দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ওই নারী ইউপি সদস্য বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে মোহনপুর থানায় মজিবর রহমানসহ পাঁচজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। জরুরি ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ওই নারী ইউপি সদস্যকে উদ্ধারের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
মামলা ও এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১২ মে বুধবার রাত ৯টার সময় মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধোরশা মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত সেফাতুল্লাহর ছেলে মজিবর রহমান (৪৭) জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের বর্তমান নারী ইউপি সদস্য ও তিন মেয়ে সন্তানের জননী (৪২) বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিন মজিবর রহমান তার বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। শুক্রবার (১৩ মে) ইউপি সদস্যকে বাড়িতে রেখে ভোর রাতে মজিবর রহমান পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মজিবর রহমানের লোকজন গিয়ে নারী ইউপি সদস্যকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সরকারি জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আসামি মজিবর রহমানসহ অন্য আসামিরা ইউপি সদস্যর কাছ থেকে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা ছিনতাই ও মারপিটের পর বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী বলেন, বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউপি সদস্যকে থানায় পাঠানো হয়েছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। নারী ইউপি সদস্যকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার জন্য পুলিশের অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply