লিটন সরকার রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়া ভোগান্তি এ যেন রৌমারী উপজেলাবাসির জন্য নতুন কিছু নয় বরং এমন অবস্থাকে আর্শিবাদ হিসাবে ধরে নিয়েছেন এ অঞ্চলের জনগণ। এমনিতেই খানাখন্দে ভরা উপজেলার সদরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট।রৌমারীতে বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও চলাচলের রাস্তাগুলোর এমন বেহাল দশা বছরের পর বছর থেকেই যাচ্ছে।এর মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও নোংরা কাঁদায় হাটাচলার চরম এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র শাপলা চত্বর থেকে রৌমারী গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে চলাচলে অনোপযোগী অথচ এই রাস্তা দিয়ে রৌমারী কেরামতিয়া আর্দশ ফাজিল মাদ্রাসা,কেন্দ্রীয় কবর স্থান,কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ,একটি চাতাল ,চাউলের আরৎ, মুক্তাঞ্চল স্কুল এন্ড কলেজ,রৌমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী শিক্ষকসহ ১০/১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়।দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সংস্কার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রৌমারী গ্রামের বাসিন্দা হামদু মিয়া বলেন, খুবই দু:খজনক ব্যাপার এই
গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে কেন
সংস্কার করা হয় না,আমি দ্রুত
সংস্কারের দাবি জানাই।শাপলা চত্বর থেকে থানারোড,উপজেলা রোড চলাচলের অনুপযোগী । সামান্য বৃষ্টি হলেই জরাবদ্ধতায় ভোগান্তি প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষের। বাজারের দুইপাশে ড্রেন থাকলেও পানি নিস্কাশন হয়না এছাড়াও
বিভিন্ন রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সদরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো এভাবেই তলিয়ে থাকে বৃষ্টির পানিতে । সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন এই সড়ক প্রসস্ত করার কাজ চলমান কিন্ত কাজের গতি খুবই ধীরগতি এ নিয়ে জন অসন্তোষ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। তাছাড়া থানামোড় থেকে সুনামধন্য রৌমারী
মহিলা কলেজরোড,উপজেলা মোড় থেকে রৌমারী সরকারি কলেজ রোড- ফলুয়ারচর ঘাট সড়কেরও বেহাল অবস্থা। কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এই জলাবদ্ধতা পার হয়ে কলেজে যেতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তীর শিকার হতে হয়। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগি হয়ে পরেছে। ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে রৌমারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সামাদ খান বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত এই রাস্তাটির এমন দশা থাকলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ফলে কলেজের শিক্ষার্থীদের কলেজ আসতে ব্যাপক সমস্যা পোহাতে হয়।আমি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত এর সংস্কারের ব্যবস্থা করা হলে আমাদের সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে। ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী তাহমিনা, শিখা, শাকিল,মোস্তফা,মীম,হেনা, কলেজ পাড়ার পরেশ সাহা,এনামুল,জিয়ারুল,মিজানুর রহমান রন্জূ, আ:রশিদসহ অনেকে বলেন,আমাদের উপজেলা সদরে যাতায়াতে খুব সমস্যা হয় রাস্তায় পানি ও কাঁদা থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, সময় অপচয় হয়
ও পোশাক নষ্ট হয়ে যায়।স্থানীয় বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ,
গণকমিটির সহসভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, বাড়ি থেকে বার হলেই কাঁদা পানি হেটে হাট বাজারে যেতে হয় আমি জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই যত দ্রত সম্ভব আমাদের এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ করা হোক।
রৌমারী উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি বাবু প্রদীপ কুমার সাহা বলেন,রৌমারী হাট বাজার থেকে সরকার প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে।জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা দরকার।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল ইসলাম রাসেল জানান, জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ নিরসনকল্পে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহুরুল ইসলাম এর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রৌমারী জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রসস্থ করার কাজ চলমান রয়েছে ,ঠিকাদারের গাফলতির কারণে কাজের গতিধীর, বারবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য।অপরদিকে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।তিনি জানান,শাপলা চত্বরের আশেপাশে
বাজারে জলাবদ্ধতা নিরসনে গর্ত গুলো সমান করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।