রাংঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
বঙ্গবন্ধু’র যোগ্য উত্তরসুরী শিক্ষা বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সীমাহীন নেতৃত্বে পটুয়াখালী-৪ এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ উপহার মোঃ মাহবুবুর রহমান। কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী উপজেলা ও মহিপুর থানায় শিক্ষা ক্ষেত্রে অপরিসীম অবদান রেখেছেন।তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন প্রতিটি মহল্লায় অর্থাৎ সকল জনগণের কাছে শিক্ষার আলো পৌছানোর সু-ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
মোঃ মাহবুবুর রহমান হৃদয়ে ধারণ করেছেন বাংলাদেশ যে একটি মধ্যম আয়ের উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে চলেছে, বিষয়টি এখন আর কল্পনা বা অনুমানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বিষয়টি এখন দৃশ্যমান। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারও তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নত দেশের কাতারে শামিল হবে। তাই বাংলাদেশ সরকারের এ আশাবাদের মধ্যে যথেষ্ঠ যুক্তি ও তথ্য রয়েছে। একটি এলাকার টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটে।
অত্র কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় তেমনটি ঘটেছে। ২০০৮ সালের শেষ ভাগে সংসদ নির্বাচনে মোঃ মাহবুবুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রতিমন্ত্রী হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় এরপরেই দক্ষিণ অঞ্চল তথা কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, কৃষি এবং অন্যান্য সেক্টরে উন্নয়নের হাওয়া বইতে থাকে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহোদয় মনে করেন অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি যদি শিক্ষার উন্নয়ন না ঘটে, সে অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্থায়ী রূপ পেতে পারে না। তবে আশার কথা, আমাদের কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নতি সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলেছে। কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলাধীন গত এক দশকে শিক্ষায় সর্বস্তরেই চোখে পড়ার মত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় শিক্ষার এই ব্যাপক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অর্জন একমাত্র মোঃ মাহবুবুর রহমানের অবদান। সকলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।তার ১৫ বছরের সময়কালে অত্র এলাকার প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছেন। নিরক্ষরতা দূরীকরণেও অর্জন করেছেন তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য। শিক্ষা ক্ষেত্রে মো. মাহবুবুর রহমান যে অবদান রেখেছেন সে দিকে একটু দৃষ্টি দিতে পারি- তিঁনি শিক্ষার মান উন্নয়নে কর্ম সংস্থান সৃষ্টির লক্ষে অত্র কলাপাড়ায় প্রতিষ্ঠা করেছেন দুটি কারিগরি কলেজ, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ও একটি কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট। অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে এসএসসি পাস করে ঝরে পড়ে এ সকল ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এ কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প খরচে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতি বছর ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থান করে নিচ্ছে, ফলে অনেক বেকার সমস্যা দূর হয়েছে। তার সংসদ সদস্য হওয়ার মেয়াদকালে অনেকগুলো স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তি করেছেন এতে শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে আর শিক্ষার্থীরাও পেয়েছে সুশিক্ষার সুযোগ। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে মোঃ মাহবুবুর রহমান সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজে ৪টি বিষয় অনার্স খুলে দিয়েছেন, যার ফলশ্রুতিতে কম খরচে গ্রামের হত দরিদ্র, কৃষক, শ্রমিক, জেলে সকল শ্রেণি-পেশার জনগণ উপকৃত হয়েছে, তাদের ছেলে-মেয়েরা কম খরচে বাড়ীতে থেকে পড়শোনা করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে।
তিনি কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় যে সকল গ্রামে প্রাইমারী স্কুল নেই সে সকল গ্রামে ১৫টিরও বেশি সরকারি প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন, প্রতি গ্রামে প্রাইমারী স্কুল নিশ্চিত করেছেন। রাঙ্গাবালীতে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি মহিলা কলেজ ও একটি স্বতন্ত্র কলেজ যার কারণে ঐ অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের দূরদূরান্তে পড়াশোনার জন্য যেতে হয় না। বর্তমান সরকারের দশ বছর মেয়াদে প্রতি উপজেলায় একটি মাধ্যমিক স্কুল ও একটি কলেজ সরকারিকরণের লক্ষে মোঃ মাহবুবুর রহমান কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার শ্রেষ্ঠ দুটি স্কুল ও দুটি কলেজ সরকারিকরণ করেণ এতে ছেলে-মেয়েদের পড়শোনায় যথেষ্ট আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলা দুটির অনেক ছেলে-মেয়েরা বীনা খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছে ফলে ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা অনেকটা লাগব হয়েছে। শিক্ষিত বেকারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যবস্থাসহ সকল উন্নয়নমুখী কর্মকান্ডে এই অপরিসীম ভূমিকার জন্য আকাশ সমান জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই সকল নৌকা প্রিয় মানুষ আশায় বুক বেঁধেছে –মাটি ও মানুষের নেতা আট লক্ষ মানুষের নয়নের মনি, দক্ষিণ জনপদের গর্ব ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও স্নেহ ধন্য, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ মোঃ মাহবুবুর রহমান কখন আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়নে নৌকা মার্কা হাতে নিয়ে এলাকায় আসবে তার প্রতিক্ষায় জনগণ প্রহর গুণছে।