সাব্বির আহমেদ হৃদয়
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
"মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা ও বন্ধু " এমন গানের ছন্দের সাথেই মিলে গেছে ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির একজন মানবিক পুলিশ কন্সটেবলের মানসিক প্রতিবন্ধী একজন মানুষকে সুস্থ্য করে তোলার খন্ড দৃশ্য।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটের সময় আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ি মাঠে ঢুকতেই দেখা গেলো একদল মানুষের হুড়োহুড়ি। খোজ নিতেই জানা গেলো ফুটপাতে পড়ে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী একজনকে সুস্থ্য করে তোলার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে এমন টা দেখা না গেলেও তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাড়ির কন্সটেবল মোঃ দেলোয়ার হোসেন। রাজশাহি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান ,আমি ডিউটি থেকে এসে ফাড়ি তে ঢুকতেই দেখি একজন মানসিক রোগী মাঠের পাশে মাঁচার উপর শুয়ে আছে এবং তার পায়ের তালুতে বেশ খানিকটা ক্ষত হয়ে ইনফেকশন হয়ে গেছে। বিষয় টা আমার নজরে আসলে আমি নিজ দায়িত্ব থেকেই পাশের ফার্মেসির এক চিকিৎসক ডেকে নিয়ে ক্ষত জাইগা পরিষ্কার করে ব্যান্ডিজ করে ঔষধ নিয়ে তাকে খাইয়ে দেই। তার ক্ষত স্থান ঠিক না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা চালানো হবে। সামান্য পুলিশ সদস্যের এমন মহানুভবতা দেখে পথচারিরা অনেকেই হতবাক হন। পথচারিরা বলেন এমন মানবিকতাপূর্ন কাজ খুব কম মানুষই করে।
পুলিশ সদস্য দেলোয়ার আরো বলেন, কে কোন ধর্মের, কে পথচারী, কে ভিক্ষুক বা কে রিকশাচালক কোনো জাতপাত নেই আমার কাছে।
আমাদের একটাই পরিচয় আমরা মানুষ। সেই মানুষ হিসেবেই মানুষের পাশে সারাজীবন থাকতে চাই। আমাদের কাছে সরকারি চাকরি মানে হল পেশাগত দায়িত্ব। আমাদের কাছে সরকারি চাকরি মানে হল জনসেবা। আমাদের কাছে সরকারি চাকরি মানেই হল জনগণের বন্ধু, সেবক এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।
নিভৃতে থেকে আমরা দিন রাত কাজ করে যেতে চাই মানুষের জন্য, প্রজাতন্ত্রের জন্য। আমার পুলিশ বাহিনীর সকল অফিসারদের সহযোগিতা চাই এমন কিছু মানবিক ও সামাজিক কাজের জন্য।
এদিকে চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকটির পা কাচে অথবা শামুকে কেটে গেছে। ময়লা প্রবেশের কারনে কাঁটা জায়গাই পচন ধরেছে। পুলিশ সদস্যের নজরে আসলে তিনি আমাকে নিয়ে তার চিকিৎসা করান। নিয়মিত চিকিৎসা পেলে সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব।