বুলবুল হাসান
ঐতিহ্যবাহী পাবনার বেড়া উপজেলার তাঁতসমৃদ্ধ নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের তাঁতীরা আজ অস্তিত্ব সংকটে।কর্মহীন তাঁতী সম্প্রদায় মহাজনের কাছে ঋণে জর্জরিত। ব্যবসায়ী মন্দা ভাব রঙ সুতার দামের উর্ধগতি উৎপাদিত কাপড়ের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পরেছে বেড়া উপজেলার তাঁতীরা ।
ক্রমাগত লোকসানে আজ ধংসের দ্বারপ্রান্তে তাঁত শিল্প। জেলার নয় টি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এ শিল্পের উপর নির্ভরশীল হলেও লোকসানের কারনে বেঁচে থাকার তাগিদে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশাকে বেছে নিয়েছে। অনেকে তাঁত বন্ধ রেখে ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক হিসাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। কাপড়ের হাট গুলো জনশূন্য হয়ে পরেছে ফলে জৌলুসতা হারিয়েছে জেলার ঐতিহ্যবাহি কাপড়ের হাটেও।
সরেজমিনে দেখা যায় বেড়ার হাটুরিয়া বাটিয়াখড়া নেওলাইপাড়া রাকসা চকপাড়া সাফুল্লাপাড়া গ্রামের অনেক তাঁত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ বাসার বলেন তাঁতশিল্প কে টিকে রাখতে তাঁত বোর্ড গঠন ও মধ্যস্বত্বভোগীদের তৎপরতা বন্ধ করে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করে সহজ শর্তে তাঁতীদের ঋণ সহায়তা করার মাধ্যমে এ শিল্পকে রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। চকপাড়া গ্রামের তাঁত মালিক মোঃবাবু বলেন রঙ সুতার দাম ক্রমাগত বাড়লেও বাড়ছে না কাপড়ের দাম ফলে অনেকে দিশেহারা হয়ে তাঁত কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।
আগে এই গ্রামে এক হাজারেরও বেশি তাঁত কারখানা চললেও এখন পঞ্চাশ খানা চলে। লোকসানের কারনে ঈদুল ফিতরের পরে অনেকে তাঁত কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী দাবি তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা কামনা।