লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
রৌমারীতে হাবিবুর রহমান নামের ৫ মাসের এক শিশু ও তার মা হাফসা আক্তারকে (২৬) গলা কেটে করে হত্যা করা হয়েছে। মা ও ছেলেকে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসী। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং অচেতন মহিলাকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিশুর মা হাফসা আক্তার হারেনা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরে উপজেলার নতুনবন্দর এলাকায়।
গ্রামবাসী জানায়, নিহত শিশুটির পিতা সাহেব আলী ঢাকায় ধান কাটা শ্রমিকের কাজ করেন। জন্মের পর থেকে শিশুটির খিচুনি রোগ ছিল। গত দু’দিন আগে শিশুটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে জফিয়াল হক (৩৫) নামের এক যুবকের সাথে কুড়িগ্রামে চিকিৎসার জন্য যান শিশু ও তার মা হাফসা আক্তার হারেনা। জফিয়াল হক সম্পর্কে হাফসার উকিল বাবা। তার বাড়ি এবং মহিলার স্বামী সাহেব আলীর বাড়ি রৌমারী উপজেলার ওকড়াকান্দা গ্রামে। এমতাবস্থায় শনিবার ভোরে হাফসার বাবার বাড়ি নতুনবন্দর এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুরে শিশুর গলাকাটা লাশ ও অচেতন অবস্থায় তার মাকে পেয়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন জফিয়াল হক। জফিয়াল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাফসা আক্তার।
রৌমারী থানার ওসি মোনতাছের বিল্লাহ বলেন, শিশুর লাশ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুর মা হাফসাকে নির্যাতন করা হয়েছে। নিহত মহিলাকে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা ডাক্তারী পরীক্ষার পর বলা যাবে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।