নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডুমুরিয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২১ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পথচারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
কাঁঠালতলা বাজারে ৩টি দোকানঘর ও কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
জানা যায়, কাঠালতলা বিশ্বমাতা সেবাশ্রম ও মঠ - এর জমি সংক্রান্ত বিষয়। কাঠালতলা স্কুলের শিক্ষক তাপস কুমার বসাক ওই সরকারি জমিটা জোরপূর্বক দখলে নিতে চায় যেটা মঠের আওতায় রয়েছে।স্থানীয় ভদ্রা নদীর তীরে কাঁঠালতলা মঠের জমি নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষক তাপস বসাকের সাথে মঠ কমিটির সদস্য ও কাঁঠালতলা বাজার ব্যবসায়ী শংকর রায়ের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিলো।
শনিবার সকালে এ নিয়ে দু'জনের বিবাদের জের ধরে শিক্ষক তাপস বসাক স্কুলে গিয়ে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক স,ম আব্দুর রাজ্জাক এবং নবম-দশম শ্রেনির কয়েক জন ছাত্র কে জানান। এরপর প্রধান শিক্ষক কয়েকজন ছাত্রকে বাজারে পাঠিয়ে দোকানি শংকর রায়কে খবর দেয় স্কুলে যেতে।
কিন্তু দোকানি শংকর রায় স্কুলে যেতে রাজি না হওয়ায় ছাত্ররা তার উপর হামলা চালিয়ে বেধকড় মারপিট করতে করতে স্কুলের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি জানতে পেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক স,ম আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল থেকে শংকর রায়কে উদ্ধার করে তার কক্ষে নিয়ে যায়। এদিকে বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা শংকর রায় কে মারধরের এ খবর পেয়ে স্কুলে উপস্থিত হয়। তাদের সাথে শিক্ষকদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী আজাহারুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের কক্ষের মধ্যেই তাকে লাঞ্ছিত করেন।
তার জামার কলার ধরে তাকে কক্ষের বাইরে আনার চেষ্টা করেন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করেন। তারা লাঠিসোঠা নিয়ে বাজারের কয়েকটি দোকানঘর ও গাড়ি ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে বাজার ব্যবসায়ীরাও জড়ো হয়ে তাদেরকে পাল্টা ধাওয়া দেয়।
এসময় সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় শিক্ষক-ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক পথচারিসহ ২০ জন আহত হয়। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ কনি মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাঁঠালতলা স্কুলের একজন শিক্ষক ও কাঁঠালতলা বাজারের একজন ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত জমিজমা সক্রান্ত বিষয়ে।
এ বিষয়ে আগামীকাল বসাবসি করা হবে। এবং তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আহত ব্যাবসয়ি শংকর রায়ের অবস্থা গুরতর বলে জানাযায়।