এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কারা আসছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমত ঝড় উঠেছে। এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে তৃণমুলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে তরুণ নেতৃত্ব কলমা ইউপি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোর্শেদুল মোমেনিন রিয়াদ। তৃণমুলের ভাষ্য, সভাপতি পদে মোটা দাগে দুটি কারণে রিয়াদ অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন। প্রথমত তিনি তরুণ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজের অধিকারী। দ্বিতীয়ত তিনি স্থানীয় সাংসদ এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের বিশস্ত সৈনিক।
এছাড়াও সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হলে একজন নেতার যে ধরণের হেভিওয়েট নেতার সেল্টার, ব্যক্তি ইমেজ, আর্থিক সচ্ছলতা, কর্মী-বাহিনী, পেশীশক্তি ও জনসমর্থন প্রয়োজন তার সবগুলো রিয়াদের মধ্য বিদ্যমান রয়েছে। আওয়ামীবিরোধী শক্তিকে মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগের কর্মসুচি সফল করার মতো জনবল-আর্থিক সচ্ছলতাও রিয়াদের রয়েছে। এদিকে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নেতৃত্বের প্রতি পুর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তাদের একজন বিশ্বত্ব কর্মী হিসেবে রিয়াত ছাত্রলীগকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলা ছাত্র লীগের নেতৃত্বে সভাপতি পদে রিয়াদকে চাই তৃণমুল। তৃণমুলের দাবির মুখে তিনি সভাপতি পদে আশার ইচ্ছে প্রকাশ করে মাঠে নামেন ও নেতাকর্মীদের মাঝে নিজের অবস্থান তুলে ধরে প্রচারণা শুরু করেন। এদিকে তৃণমুলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের আকুন্ঠ সমর্থন তাকে আশাবাদী করে তুলেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে মোর্শেদুল মোমেনিন রিয়াদ বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার তিনি
একজন কর্মী। তিনি বলেন, তাদের বাইরে তার কোনো প্রত্যাশা নাই, তবে তারা যদি তাকে কোনো দায়িত্ব দেন, তাহলে তিনি তৃণমুলের সকল নেতাকর্মীকে নিয়ে সেই দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মাহাবুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রিয়াদ ভাইয়ের কোনো বিকল্প নাই। তিনি বলেন, আমরা ইতমধ্যে দলের নীতিনির্ধারক মহলকে বিষয়টি অবগত করেছি।