ঠাকুরগাঁও জেলায় ২০১০ সালের একটি ধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান ওরফে রিজভীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ডা প্রদান করা হয়। ২৪ মে মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ) মো: গোলাম ফারুক এ রায় প্রদান করেন। রিজভী রানিশংকৈল উপজেলার করনাইট গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার করনাইট গ্রামের ঐ নারী ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করার সময় পৌর শহরের গোবিন্দনগর এলাকার ঐশী ম্যাসে থাকতেন। ঘটনার দিন গত ২০১০ সালের ২৭ মে অভিযুক্ত রিজভী ঐ নারীকে শোফা কেনার কথা বলে শহরের টাংগন ব্রিজে ডাকেন।
ঐ নারী সেখানে গেলে বীরগঞ্জে শোফা কিনবে বলে তাকে মোটরসাইকেযেগে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জে নিয়ে যায়। পরে আবারও কৌশলে ঐ নারীকে মোটরসাইকেলযোগে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে ও পরে রানীশংকৈলের খন্দকার হাই আবাসিক হোটেলে নিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষন করে পুনরায় ঠাকুরগাঁও জেলার শহরের ম্যাসে এনে দেয়।
বিষয়টি ঐ নারী মোবাইলে তার পিতাকে জানালে পরদিন রিজভীর পক্ষ থেকে বিচার মিমাংসার কথা বলা হলেও তা না হলে ২০১০ সালের ২৯ মে তারিখে ভুক্তভোগী ঐ নারী রানীশংকৈল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
অবশেষে দীর্ঘদিন বিচারকার্য শেষে আদালত রিজভীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে।