আকাশ আহমেদ, (নওগাঁ) জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে পৃথক স্থানে তিনজন আত্নহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মৈনম ও প্রসাদপুর ইউপির পৃথক তিনটি গ্রামে এই আত্নহত্যার ঘটনা ঘটে।
মৃতরা উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির গবিন্দপুর গ্রামের মৃত কৃষ্ণন্দ্রনাথ পাইকের ছেলে রবীন্দ্রনাথ পাইক (৭৫) ও চকরাজাপুর গ্রামের আতাব আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (২৫) এবং মৈনম ইউপির মৈনম বাইবোল্ল্যা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুস ছামাদ (৫৮)।
জানাগেছে, রবীন্দ্রনাথ পাইক দীর্ঘদিন থেকে মানষিক রোগে ভূগছিল। গত ২৬/০৫/২০২২ ইং তারিখ রাত ১১.১০ ঘটিকায় বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে পুকুর পাড়ে আম গাছের ডালের সাথে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তার ছেলে। আব্দুস ছামাদ নামের ব্যক্তি আড়াই মাস পূর্বে বউকে ডিভোর্স করেন। ডিভোর্সের পর আড়াই বছরের একটি বাচ্চা নিয়ে একাকী জীবন- যাপন করছিলেন।
একাকীত্ব সইকে না পেরে অভিমান করে বাড়ির পাশে আমবাগানে গাছের নিচে আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে রেখে ডালের সাথে গলায় দড়ি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আনুমানিক রাত তিনটার দিকে তার ছেলে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তার ফোনে কল দিলে আমবাগানের দিক থেকে মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠে মোবাইল ফোন লক্ষ্য করে গাছের কাছে গেলে গাছে তার বাবাকে ঝুলতে এবং গাছের নিচে তার ছোট বোনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পায়।
অপরদিকে সাব্বির হোসেন ও তার স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ থাকায়, তার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। শুক্রবার ২৭/০৫/২০২২ ইং দুপুর আনুমানিক একটার সময় বাড়ির অন্যান্য লোকজন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় সাব্বির তার শয়নকক্ষের দরজা লাগিয়ে দিয়ে ফ্যানের সাথে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে বাড়ির লোকজন তাকে ডাকাডাকি করলে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
এ বিষয়ে মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে তিনটি লাশের প্রথমিক তদন্ত শেষে ময়না তদেন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে।