সিদ্দিক বেরোবি :
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হয়েছে বাহারি সব ফুলের গাছ। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। বাহারি এসব ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমনকি দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ফুলপ্রেমীরা।
ক্যাম্পাসের ফটক পেরুতেই চোখ পড়ে প্রবেশ দ্বারের রাস্তার দুধারে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া দিকে । কৃষ্ণচূড়ার ডালে সবুজের বুকে দৃষ্টিনন্দন লাল- লাল ফুল ফুটে আছে। সবুজ পাতার ভেতরে থেকে রক্তরঙা কৃষ্ণচূড়া যেন সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছে।
একটু সামনে হেঁটে যেতেই দেখা পাওয়া যায় গগনশিরীষ গাছের সারি। চেরি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো । গাছের ফাঁকে ফাঁকে রঙিন আর সাদা চেরি ফুলের গাছ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে দিয়ে উপাচার্যের বাসার দিকে চলে গেছে একটি সড়ক। সড়কের দুদিকের সবুজ আরও বাড়িয়ে তুলেছে সৌন্দর্য। যে কেউ এই সড়কে হাঁটলে মনে দোল খেয়ে যাবে। কোথাও ফুটে আছে সোনালু, জারুল আর কৃষ্ণচূড়া এই ফুল গুলি ফুল প্রেমীদের মনে দোলা দিয়ে যায়।
এছাড়াও আরো কত গুলো ফুল গাছের সন্ধান মিলল।নীলমণিলতা, ঝুমকোলতা, লাল কাঞ্চন, শ্বেত কাঞ্চন, তিন রকম কাঠগোলাপ, তিন ধরনের চেরি, বাগানবিলাসসহ অনেক ফুল সাথে আছে মাধবীলতা।
সকালের সূর্যি মামার উঁকিতে কোকিলের কুহুকুহু ডাক! পাখির কিচিরমিচিরে বিছানায় শুয়ে থাকা যায় না।যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র সব বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। ভ্রমরের পাশাপাশি ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা ক্যাম্পাসে আগতরা।
এছাড়াও আরো রয়েছে আগর, ইটোরিয়া, উদাল, কইনার, কুম্ভী, কুরসি, কুসুম, কাইজেলিয়া, কাউফল, কাজুবাদাম, কানাইডিঙা, কেভেভুইয়া, গ্লিরিসিডিয়া, চাপালিশ, চালমুগরা, চিকরাশি, জঙলিবাদাম, জেকারান্ডা, ঝুমকাভাদি, ঝুমকোলতা, টিকচাম্বুল, ঢাকিজাম, তমাল, তালমুগরা, তুন, তেলসুর, নাগলিঙ্গম, নীলমণিলতা, পাদাউক, পানিয়াল, পালাম, পুত্রঞ্জীব (২), বনআশরা, বাজনা, বিজলঘণ্টা, বুদ্ধ নারিকেল, ভুঁইকদম, মণিমালা, মহুয়া, মাইলাম, রক্তন, রসকাউ, লকাট, লালসোনালু, লোহা, সিভিট, সিন্দুরী, সুন্দরী, সুলতান চাঁপা, অশোক, হলদু, হিজলসহ অনেক নাম জানা -নাজানা ফুলের গাছ।
মো সিদ্দিকুর রহমান (সিদ্দিক)
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর।