পিরোজপুর প্রতিনিধি :
এম,এন, উদ্দিন
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরুল ইসলাম মঞ্জু’র ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভান্ডারিয়া পৌর বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যলয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যলয়ে মোঃ মনির হোসেন আকনের সভাপতিত্বে কোরআন খতম আলোচনা সভা ও দোয়া মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দীন সিকদার, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম মল্লিক, যুবদল নেতা শামিম হাওলাদার, সজিব ব্যাপারি, মনির হোসেন মল্লিক, জাহিদুল ইসলাম রনি মোল্লা, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তানভীর জিয়া রাসেল, সহ বিএনপি যুবদল ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।
এসময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরুল ইসলাম মঞ্জু’র ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
উল্লেখ্য, নূরুল ইসলাম মঞ্জুরের বাবার চাকরিস্থল বরিশালে তার জন্ম হয় ১৬ নভেম্বর ১৯৩৭ সালে। তিনি বরিশালের ব্রজমোহন স্কুলে লেখা-পড়া কালে শিশু-কিশোর সংগঠন মুকুল ফৌজের বরিশাল শহর সংগঠক নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে কারাবরণ করেন। ১৯৫৪ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৫৫ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬১ সালে তিনি ইকবাল হল (জহুরুল হক হলের) ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর বরিশাল আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ছিলেন।
নূরুল ইসলাম মঞ্জুর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৯নং সেক্টরের বেসামরিক প্রধান ছিলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি বরিশাল সদর থেকে এম এন এ (জাতীয় পরিষদ সদস্য) নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে বরিশাল সদর থেকে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পরে ১৯৯৬ সালে পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে তিনি জেলহত্যা মামলায় আটক হন। ২০০৪ সালে তিনি খালাস পান। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি পিরোজপুর জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ২৫ মে বার্ধক্য জনিত কারনে মৃত্যুবরণ করেন বলে জানান ভান্ডারিয়া উপজেলার বিএনপির সভাপতি আহমেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
পিরোজপুর প্রতিনিধি।