মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, জেলা প্রতিনিধি,শেরপুর।
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার ৮ নং রুপনারায়ণ কুড়া ইউনিয়নের আয়নাতলী গ্রামের আয়নাতলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২ বছর যাবত অবহেলিত।
আয়নাতলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা কালীন সভাপতি তারাগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার অবঃপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক জনাব মাওলানা মোঃ জমশেদ আলী দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার (বিশেষ প্রতিনিধি শেরপুর)কে বলেন,তিনি আয়নাতলী গ্রামে অনেক বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, অত্র এলাকার বেশিরভাগ মানুষ অশিক্ষিত হওয়ায় কারণে সেই এলাকার লোকজন বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন যেমন, বাল্যবিবাহ, চুরি,শিশুশ্রম,ডাকাতি,মারামারি,হানাহানি সহ নানা প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপ।
আর এসব অসামাজিক কার্যকলাপ হতে মানুষকে কিভাবে ফেরানো যায় সেই চেষ্টা চালান এবং তিনি মনে করেন,সেখানে শিক্ষার আলো না থাকায় – তারা এসব অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, এসব অপকর্ম থেকে এদেরকে ফেরাতে হলে, সেখানে শিক্ষার আলো ছড়াতে হবে – শিক্ষার আলো ছাড়া কোনো ভাবেই জনগণকে এসব অপকর্মের দিক থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। এদেরকে আলোর পথে আনতে হলে – এখানে আলোর প্রদীপ দরকার। আর তাই তিনি, এলাকার গুনীজনদের আলোচনায় বসেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে তিনি পরামর্শ করেন।
পরবর্তীতে, গুনীজন সহ এলাকার সবার সম্মতিক্রমে আয়নাতলী গ্রামে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এতে এলাকায় অনেকটা পরিবর্তন এসেছে – এবং এ-ই পরিবর্তন যেন সবসময় আশার প্রদীপ না হয়ে, আলোর শিখা হয়ে থাকে, এলাকাবাসী এই কামনা করেন।
তারা আরও বলেন, আমরা অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর পথে এসেছি, আমাদেরকে যেন আর সেই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে না হয় এবং আমাদের কোমলমতি শিশুরা যেন তাদের শিক্ষা জিবন থেকে বঞ্চিত না হয়- সরকারের পক্ষ থেকে যেন আয়নাতলী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত সরকারী করণ করার জোর দাবি জানান।
দুঃখের বিষয় হলেও এটাই সত্যি, আজ বিগত একযুগ ধরে প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হয়, কিন্তু আজও সেখানে নেওয়া হয়নি সরকারি ভাবে কোনো খোঁজ এবং করা হয়নি সহযোগিতা। তারপরও থেমে নেই সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ, খেয়ে না খেয়ে বিনা বেতনে – দিনের পর দিন – শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন সেখানকার কয়েকশ আবাল্যও কোমলমতি শিশুদের।
এমন অবস্থায়, আয়নাতলী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যেন জাতীয় করণ করার জন্য দাবি জানান এলাকাবাসী, এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসার সহ জেলা – উপজেলা উর্ধ্বতন কর্মকতাগণের সু দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সহ এলাকাবাসী।
Leave a Reply