নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইল সদর উপজেলার উজিড়পুর গ্রামের লম্পট অসীম আঢ্যর
অত্যাচারে অতিষ্ট এক গৃহবধু
এবং সেই গৃহবধূকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে লম্পট অসীম আঢ্য।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান,২২/ ০৫/২২ তারিখে সংবাদ প্রকাশের পর অসীম আঢ্য গাঢাকা দেন।
নড়াইল থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মিরা বিষয়টি জানতে ও তাঁর বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর বাড়িতে গিয়ে তার দেখা পাননি, এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। আজ দুইদিন যাবত অসীম আঢ্য আবার প্রকাশ্যে। তিনি বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উজিড়পুর গ্রামের এক ব্যাক্তি জানান, সংবাদ প্রকাশের পর অসীম আঢ্য আত্নগোপনে থাকলেও বর্তমানে সে আবার প্রকাশ্যে। সে বিভিন্ন যায়গায় বলে বেড়াচ্ছে তাঁর কেউ কিছু করতে পারবেনা।তাঁর পেছনে লোক আছে।থানা, পুলিশ, সাংবাদিক তাঁর কিছুই করতে পারবেনা।
এদিকে ভূক্তভোগী গৃহবধূ (চায়ের দোকানদার) জানান, সংবাদ প্রকাশের পর কয়েকদিন লম্পট অসীমের অত্যাচার বন্ধ ছিল, আজ দুইদিন যাবত তাকে আমার দোকানের আশপাশে দেখা যাচ্ছে।আমার দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার দিকে খুব খারাপ ভাবে তাকাচ্ছে।আমি আতংকে আছি।অসীম আঢ্য আমার উপড় আবার হামলা করতে পারে।
উল্লেখ্য এর পূর্বে নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর গ্রামের লম্পট অসীম আঢ্যর অত্যাচারে অতিষ্ট এক গৃহবধু, তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, ভুক্তভোগী মহিলার বাড়ি কলোড়া গ্রামে। তার স্বামী ছোট ছোট সন্তান রেখে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে মারা যান । স্বামী মারা যাওয়ার পর সে গোবরা বাজারে অসীম আঢ্যর বেকারীতে শ্রমিকের কাজ নেন। সেখানেই অসীম আঢ্য তার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী লোকলজ্জার ভয়ে ও ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কথা ভেবে সবকিছু নিরবে সহ্য করেন। কিন্তু বিয়ে করেন নি লম্পট অসীম আঢ্য। কারণ তারা দুই ধর্মের দুইজন। ভুক্তভোগী নারী নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অসীম আঢ্যর কাছ থেকে মুক্তি পেতে বেকারীর কাজ ছেড়ে দেন এবং গোবরা বাজারে চায়ের দোকান দেন। এক বছর পূর্বে রুবেল শেখ নামে একজনকে বিয়ে করেন ঐ ভূক্তভোগী ঐ নারী। বিয়ে করার পর আরও ক্ষিপ্ত হন লম্পট অসীম আঢ্য। তিনি বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে কুপ্রস্তাব পাঠাতে থাকেন। অসীম আঢ্যর কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ১৬/০৫/২০২২ ইং তারিখে কলোড়া গ্রামের শশ্মান এর মাধ্যমে রাত অনুমান আটটার দিকে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা দিয়ে পাঠান লম্পট অসীম। শশ্মান দোকানে এসে ভুক্তভোগী নারীকে জানান, দাদা টাকা পাঠিয়েছে। তোমাকে এই ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা নিয়ে আমার সাথে যেতে বলেছে। এই কথা শুনে ভুক্তভোগী নারী শশ্মান কে তার দোকান থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন। এর মধ্যে দোকানে এসে হাজির হয় লম্পট অসীম। ভূক্তভোগী নারীকে অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ করে এবং শারীরিক নির্যাতন করে। বাজারের উপস্থিত লোকজন বিষয়টি সবাই দেখেন। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে অসীম ও শশ্মান ভূক্তভোগী মহিলাকে কারো কাছে অভিযোগ করলে খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ বিষয়ে চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছেন ভূক্তভোগী মহিলা।ভূক্তভোগী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, অসীম আঢ্যর জন্য আমার সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমি লম্পট অসীম আঢ্য ও শশ্মানের বিঁচার চাই।
এ বিষয়ে অসীম আঢ্যর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান, আমার সাথে এই মহিলার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমরা ধর্ম আত্মীয় পাতিয়েছি। তবে দুই ধর্মের দুই জন তাই বিয়ে করেনি। ভূক্তভোগী মহিলাকে মারধরের ও হত্যার হুমকির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।তিনি বলেন, ঐদিন তর্কাতর্কি হয়েছে,মারধরের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় এলাকাবাসী হান্নু, মনি জানান, অসীম আঢ্য একজন লম্পট, বদমাইশ প্রকৃতির লোক। তার বউ থাকতেও পর নারীর প্রতি তার মারাত্মক আশক্তি, তার কর্মকান্ডে তার এলাকার লোকজনও বিব্রত। তাই অসীম আঢ্যর বিরুদ্ধে প্রশাসন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।