আশিকুল ইসলাম মিথুন, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ
যশোরের চৌগাছা উপজেলা পরিষদের প্রথম দু'বারের চেয়ারম্যান ও স্বনামধণ্য সাংবাদিক মরহুম আতিউর রহমানের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসক্লাব চৌগাছার আয়োজনে সোমবার (৩০ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টায় প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব চৌগাছার সহ-সভাপতি ও আমাদের অর্থনীতির চৌগাছা প্রতিনিধি রহিদুল ইসলাম খান।
প্রেসক্লাবের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও লোকসমাজের উপজেলা প্রতিনিধি এম এ রহিমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাব চৌগাছার সাধারন সম্পাদক ও সমাজের কথার উপজেলা প্রতিনিধি প্রভাষক অমেদুল ইসলাম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুক্ত, নিবার্হী সদস্য আব্দুস শুকুর, আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও যায় যায় দিনের চৌগাছা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান মুক্ত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল হাকিম, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রজন্ম একাত্তরের প্রতিনিধি শ্যামল দত্ত, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও স্পন্দন এর প্রতিনিধি বাবুল আক্তার, প্রেসক্লাবের সদস্য ও আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আজিজুর রহমান, আজকের বিজনেস বাংলাদেশের উপজেলা ও দৈনিক যশোরের পৌর প্রতিনিধি রায়হান, স্বাধীন বাংলার প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান সুমন, দৈনিক নওয়াপাড়ার চৌগাছা প্রতিনিধি মহিদুল ইসলাম, সিয়াম, তারেক প্রমুখ।
স্বনামধন্য প্রবীন সাংবাদিক মরহুম আতিউর রহমান চৌগাছার প্রথম দু'বারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রেসক্লাব চৌগাছার সভাপতি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান রিন্টুর পিতা। তিনি ডেইলি অবজারভার পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রায় চার দশক ধরে সাংবাদিক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে মানুষের কল্যানে সর্বদা নিজেকে যুক্ত করেছেন। নির্মোহ এই মানুষটি এলাকার উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ট ও বটে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এই মানুষটি গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে গেছেন। ইংরেজীতে বিশেষ দক্ষতা ও এলাকায় বিশেষ খ্যাতি থাকলেও তিনি খুবই সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন।
মরহুম আতিউর রহমান ১৯৩৬ সালের ২৩শে অক্টোবর চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের জামলতা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৩ সালের ৩০শে মে যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।