আব্দুল মজিদ মল্লিক, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
নওগাঁর সাপাহারে অনিয়ম ও দুর্নীতির বেড়াজালে আবদ্ধ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস। কালো টাকা পাহাড় গড়তে চান ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।
উপজেলায় সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আবদুল্যাহ আল মামুন এর সততা,কর্মদক্ষতা ও কর্মতৎপরতায় সাপাহার উপজেলা ভূমি অফিসের চিত্র আমূল পাল্টে গিয়েছে। বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১ এর সুখী, সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন এর ধারাবাহকিতায় দেশব্যাপী চলমান শতভাগ ই মিউটেশন বাস্তবায়ন,মিস মোকদ্দমাসমূহ নিষ্পত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি ভূমি সেবার মানোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন সহ উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মপরিবেশের মান উন্নয় সকল প্রকার অনিয়ম দুর করতে উপজেলা ভূমি অফিসের উন্নয়ন সহ সার্বিক কর্মকান্ড স্বচ্ছলতা ও গতিশীলতা এবং জনসেবার মান বজায় রাখতে তাঁর সততা ও নিষ্ঠার কারণে উপজেলা ভূমি অফিস আজ প্রাণ ফিরে পেলেও,ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বিরাজমান সকল অনিয়ম দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ সাপাহার সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের।
যার মূল হোতা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। তার দুর্নীতি কবল হতে কেউই বাদ পড়ছে না এমনকি সাংবাদিকদেরও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অবৈধ ভাবে লেনদেন ছাড়া কোন কাজে হাত দেন না এই ভুমি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।
জমির খাজনা, নামজারী, মিস কেস সহ সকল কার্যক্রমে কোন মানুষ তার হয়রানির শিকার না হয়ে এবং অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে রেহাই পাননি।
অবৈধ সম্পদ করার পরও কালো টাকার পাহাড় তৈরি করতে চান অসৎ এ ইউনিয়ন ভূমি অফিসার সিরাজুল ইসলাম।
সাপাহারের স্থানীয় এক সাংবাদিকের নামজারির অবৈধ অতিরিক্ত টাকা না পেয়ে মাসের পর মাস ফাইল ফেলে রাখেন তিনি। এমনকি প্রস্তাবিত খতিয়ান তৈরি না করে ফাইল প্রেরন করেন উপজেলা ভূমি অফিসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম উপজেলার সাংবাদিকদের নামে মিথ্যেচার করেন। এতে করে ওই ইউনিয়ন ভূমি অফিসার এর কর্মকাণ্ড লিখিতভাবে অবগত করা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঠিক তদন্তের জন্য কানুনগো কে দায়িত্ব প্রদান করেন।
০২/০৬/২০২২