মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
জোরপূর্বক জমি দখল করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও জমি উদ্ধারের দাবিতে, ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে খানসামা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টপাড়ার এক অসহায় পরিবারের বিধবা মহিলা।
শনিবার দুপুরে মৃত অহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি একজন অসহায় বিধবা মহিলা। আমি আপনাদের খানসামা প্রেসক্লাবে স্ব-শরীরে উপস্থিত হইয়া জনৈক ফজলুল হক ( মাষ্টার ) পিতা: মৃত- হাসান আলী আমার প্রতিবেশী হইতেছেন। তিনি একজন ভুমি দস্যু , পরধনলোভী, দুষ্কৃতি প্রকৃতির লোক হইতেছেন। তিনি আমার স্বামীর দীর্ঘ শতবর্ষ পূর্বের ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে লোলুপ দৃষ্টি দেন। যাহা আইনত অপরাধ ও বে-আইনী । আমার স্বামী ও আমার স্বামীর পূর্ব পুরুষগন ঘরবাড়ী নির্মাণ করিয়া বসতবাড়ীতে ভোগ দখলে আছি। তিনি উক্ত আমার ভোগদখলীয় সম্পত্তি জোরপূর্বেক দখলের নিমিত্তে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কু-চক্র ও নানান অপ-তৎপরতা করিতেছেন। উক্ত কু-চক্র ও অপ-তৎপরতায় ব্যর্থ হইলে তিনি ভূয়া, জাল দলিল তৈরি করে আমার স্বামী ও আমার নামে বিজ্ঞ খানসামা সহকারী জজ আদালতে ৩৭/২০১৯ অন্য মোকদ্দমাসহ অন্যান্য আনয়ন করেন। তৎসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা চলমান রহিয়াছে। ভুমি দস্যু , পরধনলোভী, দুষ্কৃতি ফজলুল হক মাষ্টার আদালতের বিচারকার্য অস্বীকার ও অমান্য করিয়া এবং আজ আমার বসত:বাড়ীতে বেআইনীভাবে প্রবেশ করিয়া আমার দখলকৃত সম্পত্তিতে বে-আইনীভাবে বাড়ীঘর নির্মাণ করিবে ও আমার রোপনকৃত গাছপালা কর্তন ও উক্ত সম্পত্তি হইতে বেদখল করিবেন মর্মে আমাকে হুমর্কি প্রদান করিয়াছেন। যাহার কারণে আমি ভয়ভীত হইয়া পড়ি। প্রভাবশালী ফজলুল হক মাষ্টার আমাকে একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের হুমর্কি দিয়া আসিতেছেন। আমি আমার ৪ কন্যা ও ১শিশু সন্তানকে লইয়া আতংকের মধ্যে জীবন যাপন করিতেছি।
তিনি আরো বলেন, প্রভাবশালী ফজলুল হক মাস্টারের ছেলে সাঈদ হাসান ও ডন আমাকে ধর্ষণ ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি প্রদান করে আসছেন।
এমতাবস্থায় তিনি হয়রানি ও মিথ্যা মোকদ্দমাসমূহ হইতে পরিত্রান ও আমার সম্পত্তি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।