এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী নগরীতে দিনে দুপুরে মোটর গ্যারেজ থেকে চুরির সময় এক চোরকে হাতে নাতে ধরেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জড়িত আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।
সোমবার (৬ জুন) রাতে আরএমপি মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।
গ্রেফতাররা হলেন— নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার কয়েরদারা এলাকার সাবুরের ছেলে শিমুল (২৫), মালদা কলোনি এলাকার মৃত আজাহার হোসেন লাটুর ছেলে নাইম (২৫) ও বখতিয়ারাবাদ মালদা কলোনি গ্রামের মৃত লুৎফর শেখের ছেলে রাজ্জাক (৪২)।
রফিকুল আলম জানান, শনিবার (৪ জুন) দুপুরে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার নগরপাড়া চালকীপাড়া মোড়ের মোটর গ্যারেজের ম্যানেজার বেল্লাল কাজে গ্যারেজের বাইরে যায়। সুযোগ পেয়ে গ্যারেজ থেকে লোহার প্লেন শিট চুরি করতে আসে আসামি শিমুল ও নাইম। চুরি করে পালানোর সময় স্থানীয়দের হাতে শিমুল ধরা পড়লেও পালিয়ে যায় নাইম।
গ্রেফতার শিমুল জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, সে ও নাইম দুজনে মিলে গ্যারেজের লোহার প্লেন শিট চুরি করেছে। একইদিন সে ও পলাতক নাইম মোটর গ্যারেজ থেকে নদীর মাটি খননকারী ড্রেজারের অ্যামপুলার চুরি করে মালদা কলোনির ভাংড়ি দোকানে বিক্রি করেছে। অ্যামপুলার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা।
পরে গ্যারেজ মালিক বেল্লালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এসআই মৌসুমী সুলতানা ও তার টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৫ জুন) দিবাুগত রাত আড়াইটার দিকে অভিযান চালায়। এসময় মালদা কলোনির নিজ বাড়ি থেকে আসামি নাইমকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে গ্রেফতার শিমুল ও নাইমকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে সোমবার (৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় চোরাই মাল ক্রয়কারী রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্জাক জিজ্ঞাসাবাদে চোরাই মালামাল ক্রয় করার কথা স্বীকার করে ও জানায় ক্রয় করা চোরাই মালামাল অপর ভাংড়ি ব্যবসায়ী আরব আলীর ভাংড়ি দোকানে বিক্রি করেছে। পরবর্তীতে আরব আলীর ভাংড়ির দোকানের গোডাউন থেকে চোরাইমাল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান আরএমপি মুখপাত্র।