মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, জেলা প্রতিনিধি,শেরপুর।
শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী এমদাদুল হক লালুকে (৪৫) মৃত্যুদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমদাদুল হক সদর উপজেলার চরমুচারিয়া ইউনিয়নের মুকসুদপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান মামলার একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, খুনের ঘটনাটি গত ২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের। সেদিন যৌতুক আদায়ে ব্যর্থ হয়ে এমদাদুল হক রোখসানাকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে এবং মুখে বিষ ঢেলে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর রোখসানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ওই ঘটনায় প্রথমে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হলেও ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টে মারপিটের জখমের কারণে রোখসানা মারা গেছেন বলে রিপোর্ট আসে। পরে ওই ঘটনায় নিহতের ভাই নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে এমদাদুল হক লালু, এমদাদুলের ভাই ও ভাবিসহ ৯জনকে স্বনামে এবং আরও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি একমাত্র এমদাদুল হক লালুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি এমদাদুল হককে ওই সাজা দেয় ট্রাইব্যুনাল।