মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশের পর সারা দেশে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি করা হচ্ছে জরিমানা। দেয়া হচ্ছে কারাদণ্ডও। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় বারের মত ৭জুন মঙ্গলবার দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পাকেরহাটে অবৈধ, অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিহ্নিতকরণ অভিযান চালায়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৮ম শ্রেণী পাস করেই প্রায় দুই যুগ ধরে মানুষের সাথে সেবার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন সিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আক্তারুজ্জামান। কোনো ডিগ্রী না থাকলেও নিজেই করতেন টেকনিশিয়ান এর কাজ। পরে মালিককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর কাগজপত্রে গড়মিল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমস্যা থাকায় প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা, আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা, পাকেরহাট ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩ হাজার টাকা ও হলি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী এই ম্যাজিস্ট্রেট।
এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. হাসানুর রহমান চৌধুরী, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রিজওয়ানুল কবির, মেডিকেল অফিসার (ইউনানী) মোস্তাসিম তাহমিদ, থানা পুলিশের এসআই গৌতম সাহাসহ আরো অনেকে।
প্রথমবারে অভিযান চালিয়ে সাময়িক বন্ধ করে দেন মমতাজ ক্লিনিককে। আজ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের সাথে পূর্বের অভিযোগ নিষ্পত্তি করায় সাময়িক বন্ধের আদেশ উঠিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হাসান সাংবাদিকদের বলেন,অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হালনাগাদ ও নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে।