নাটোরজেলা প্রতিনিধি:
আজ (১০জুন) বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ২৬তম বিবাহ বার্ষিকী।বিবাহিত জীবনের দীর্ঘ ২৬টি বছর সুখে-দুখে, রাজনৈতিক দুঃসময় ও দুর্বিপাকে একসাথে কাটিয়ে এসেছেন জীবনের অধিকাংশ সময়। এরমধ্যে তারা হয়েছেন তিনপুত্র অপূর্ণ জুনাইদ, অর্জুন জুনাইদ এবং অনির্বান জুনাইদ, গর্বিত জনক-জননী। তিনি সব-সময় থেকেছেন গণমানুষের সাথে। মানুষই যেন তার কাছে সব, মানুষের ঘরই যেন তার ঘর, তার সংসার।
প্রতিটি পুরুষের সাফল্যের পেছনে অধ্যবসায়, যেমন থাকতে হয়, তেমনি আড়ালে থাকতে হয় একজন প্রেরণাময়ী নারী। কাজী নজরুল ইসলাম যেমনটি বলেছেন, ‘কোনকালে একা হয়নি তো জয়ী পুরুষের তরবারি/ সাহস দিয়েছে প্রেরণা দিয়েছে নারী’।
জুনাইদ আহমেদ পলক একজন বাংলাদেশি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ তিনি। এছাড়া ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তরুণ এই রাজনীতিবিদ।
পলকের জন্ম ১৯৮০ সালের ১৭ মে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার শেরকোল তেলিগ্রামে। বাবার নাম ফয়েজ উদ্দিন ও মা জামিলা আহমেদ। ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৭ সালে রাজশাহী ওল্ড ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন জুনাইদ আহমেদ। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।
আজকের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ২৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষ আরিফা জেসমিন কনিকা প্রেরণা দিয়েছেন ।
গ্রামের একজন সাধারণ ঘরের অতি সাধারণ তরুণী হয়েও নিজের শ্রম-মেধা আর মননের মিথস্ক্রিয়ায় একজন ভালবাসার মানুষকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন আরিফা জেসমিন কনিকা। ভালবেসে তার মঙ্গলের জন্য যিনি দিন-রাত শ্রম, মেধা আর মনকে বিনিয়োগ করেছেন, তিনিই রাষ্ট্রপতি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রাণপ্রিয় সহধর্মিনী আরিফা জেসমিন কনিকা।
Leave a Reply