নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রাম সাংবাদিক মোতালেব হোসেনকে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন উপজেলার জোয়াড়ী ইনিয়ানের চিহ্নিত কয়েক জন সন্ত্রাসী।
রোববার দুপুরে কেচুয়াকোড়া গ্রামে লোকের মধ্যে মোঃ আব্দুল আওয়াল ও মোঃ তৌফিক তার ক্ষমতার দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন। সাংবাদিক মোতালেব দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন ও এশিয়ান টিভির বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত আছেন।এসময় তিনি সাংবাদিক মোতালেব সহ বড়াইগ্রামের সকল সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সাংবাদিক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করেন।
সাংবাদিক মোতালেব হোসেন বড়াইগ্রাম থানায় মোঃ আব্দুল আওয়াল সহ আরো ৫ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন কেচুয়াকোড়া গ্রামের মৃত শাজাহান প্রামানিকের ছেলে আব্দুল আওয়াল (৪০), মফিজ উদ্দিনের ছেলে তৌফিক (৩২), কামারদহ গ্রামের আরশেদের ছেলে রাসেল (২৫), বালিয়া গ্রামের মৃত কুদ্দুসের ছেলে নান্টু (৩০), ফজলুর ছেলে রবিউল (৩৩)।
বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১২/৬/২২ ইং তারিখে উপজেলার কেচুয়াকোড়া গ্রামের একটি রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে। পাশে কামারদহ গ্রামে মোঃ আব্দুল আওয়াল, তৌফিক,ও রাসেল, অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে, মোতালেব উক্ত পুকুরের মাটি বিভিন্ন স্থানে বহণে নির্মাণাধীন রাস্তা ব্যবহার করছে অবৈধ পরিবহণ ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহণের ফলে নির্মাণাধীন রাস্তার ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে।
মোতালেব হোসেন জানান, ঘটনা শুনে আমি সরেজমিনে বড়াইগ্রাম থানাধীন কেচুয়াকোড়া গ্রামে গিয়ে ঘটনা স্ব-চক্ষে প্রত্যক্ষ করে ,স্থানীয় জনসাধারণের বিবৃতি নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের জন্য ছবি উঠাতে গেলে আমাকে অতর্কিত দলবদ্ধ হয়ে এলোপাথাড়ীভাবে আমাকে কিল,ঘুষি ও লাথী মেরে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং আমার ব্যবহৃত ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছে। এবং তারা আমাকে উল্লেখ করে বলে আহমেদপুর বাজারে আয় ১২ ঘন্টার মধ্যে তোর পা কেটে আলাদা করে ফেলবো।
সাংবাদিক মোতালেব আরোও বলেন, আমার বাবার আহমেদপুর বাজারে সার ও কীটনাশকের দোকানে গিয়ে জোরপূর্বক দোকান বন্ধ করে দিয়েছে।
তার সহকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে বড়াইগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।বিষয়টি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান সাংবাদিক মোতালেব সহ স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।