নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড ভাদুলিডাঙ্গা গ্রামে একটি পরিবারকে কৌশলে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়াগেছে। পৌর
মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও ভূক্তভোগীর সাথে আলাপকালে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, আমার নাম মিলন হোসেন,আমার বাড়ি বাসগ্রাম ইউনিয়নে।২০১৯ সালে ভাদুলীডাঙ্গা মৌজায় ক্ষতিয়ান নং৭৭৮, হাল দাগ ৩৭৫ বৌবাজার সংলগ্ন একটি বাড়ি সহ ৫ শতক যায়গা ভাদুলীডাঙ্গার খান মোঃ কবির হোসেনের কাছ থেকে খরিদ করি,জমি খরিদের সময় খান মোঃ কবির হোসেন রাস্তা দেওয়ার কথা বললেও পরবর্তীতে আমার জমির সাথে দক্ষিন পাশের অংশ রড, টিন ব্যবসায়ী মফিজ খানের নিকট বিক্রয় করে,মফিজ খান জমি ক্রয় করে আমার যাতায়াতের রাস্তা দক্ষিন পাশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়।আমার পথ বের করে দেওয়ার জন্য পূর্বের জমির মালিক খান মোঃ কবির হোসেন অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মফিজ খানের দেখা দেখাদেখি আমার জমির উত্তর পাশ্বে খোকন দেবনাথ রাতারাতি ঘর তুলে যাতায়াতের শেষ সুযোগটিও বন্ধ করে দেয়।পশ্চিম পাশ্বে গৌরদেবনাথ মানবিক কারনে আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ দিয়েছিলেন,কিন্তু রাস্তা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় ভাড়াটিয়ারা সবাই বাসা ছেড়ে দেয়,আমিও বাড়িটি তালাবদ্ধ করে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য হই।
এমতাবস্থায় গত ২২/ ০৫/২০২২ ইং তারিখে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নড়াইল পৌরমেয়রের কাছে লিখিত আবেদন করি। পৌরমেয়র এবং ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বৃন্দ আমার অবরুদ্ধ অবস্থা সরোজমিনে দেখতে আসেন, তারাঁ এসে সবার সাথে কথা বলেন।তাঁরা যাওয়ার সময় সবাইকে নিয়ে বসে আলোচনা ও সমাধানের জন্য বসবেন বলে জানিয়ে গেলেও মেয়র ও কাউন্সিলরদের কথায় কান না দিয়ে খোকন দেবনাথ তার ইচ্ছেমত আমার বের হওয়ার মত পথটি বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন, রাস্তার পাশ্বে উঁচু করে ওয়াল দিয়েছেন, এবং অচিরেই তিনি রাস্তামূখে গেট নির্মান করবেন বলে জানান ভূক্তভোগী মিলন হোসেন।
মিলন হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, আমি তাদের কাছে একাধিক বার গিয়েছি, অনুরোধ করেছি,রাস্তার জন্য বাজার দামের তিনগুন দাম তাদের দিতে চেয়েছি,তবুও তাদের মন গলেনি,এখন আমি কি করবো? কার কাছে গেলে এর প্রতিকার পাবো? বাঁসগ্রাম ও ভাদুলিডাঙ্গার জমি বিক্রি করে ও দেনা দায়ীক হয়ে আমি এই জমি টুকু কিনেছিলাম। আমার জীবনের সব আয় এই জমীর পিছনে ব্যয় করা হয়ে গেছে। আমি এখন এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি, না পাড়তেছি নিজে বসবাস করতে,না পারতেছি ন্যায্য দামে স্থাপনাসহ জমি বিক্রি করতে না পারতেছি ভাড়াটিয়াদের কাছে ভাড়া দিতে।আমার মরা ছাড়া এখন আর কোন উপায় নাই,
সরোজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মিলন হোসেনের দক্ষিন পাশে মফিজ খান টিনের বেড়া দিয়ে সম্পূর্ণ যায়গা আটকে দিয়েছেন,সামনে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। উত্তর পাশে খোকন দেবনাথ ওয়াল দিয়েছেন, একটা বিড়াল ঢোকার যায়গা পর্যন্ত নেই,পশ্চিম পাশ্বে গৌর দেবনাথ নিজের যায়য়গার উপর দিয়ে চলাফেরা করেন বরঞ্চ মিলন হোসেনদের একসময় তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতে দেওয়ার জন্য উত্তর পাশ দিয়ে পাঁচিল উঠিয়ে তার চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভূক্তভোগী মিলন হোসেন এই অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নড়াইল পৌরমেয়র সহ নড়াইলের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।