নিউজ ডেস্ক :
ফেনীর দাগনভূঞার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার এক ছাত্রকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। একপর্যায়ে নির্যাতিত শিশুটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়।
শনিবার রাত ৩টার দিকে শিকল বাঁধা অবস্থায় ট্রহলরত পুলিশের গাড়ির সামনে শিশুটি পড়লে তাকে দাগনভূঞা থানায় নিয়ে আসে। সকালে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক ফখরুল ইসলামকে মাদরাসা থেকে আটক করে।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশু জাহিদুল হাসানকে (৭) চলতি বছরের শুরুতে মাদরাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। মাদরাসাটিতে জাহিদসহ অনেক শিক্ষার্থীকে প্রায়ই নির্যাতন করা হয়। গতকাল শিশুটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে গেলে তার বাবা তাকে মাদরাসায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
রাতে অধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রাখেন ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। রাত ২টার দিকে শিশুটি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান ইমাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সকালেই অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ছেলেটির পরিবার অভিযোগ দিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।