আশিকুল ইসলাম মিথুন, চৌগাছা, ( যশোর) প্রতিনিধিঃ
যশোর চৌগাছার চয়ন (১৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বলৎকারে ব্যর্থ হয়ে মিরাজ হোসেন ওরফে চয়নকে (১৭) গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
রাজু চৌগাছার বহিলাপোতা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের এক প্রেস রিলিজে জানায়,এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত রাজু হোসেন (২৩) বুধবার যশোরের বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) সালমান আহমেদ শুভ’র আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
প্রেস রিলিজে বলা হয় চয়ন হত্যার ঘটনায় ১৪জুন তার বাবা সবুজ হোসেন চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫। পিবিআই, যশোর স্ব-উদ্যোগে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে এসআই শরীফ এনামুল হককে দায়িত্ব দেয়। মঙ্গলবার (১৪ জুন) পিবিআই যশোর জেলা ইউনিটের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন,পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে এসআই শরীফ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ১৪ জুন দুপুর আড়াইটার সময় রাজুকে চৌগাছার ঝিকরগাছা-ছুটিপুর রোড পৌরসভা গেট বটতলা মোড় থেকে গ্রেফতার করে।
পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গামছা, মোবাইল সিম ও মাইক্রোবাস আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানিয়েছে,ঘটনার দিন(১২ জুন) রাত ০৮.০০টার সময় চয়নকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আসে। সেই রাতের বেলায় চয়নের বাড়ীর সামনে মাইক্রোবাস রেখে একই মাইক্রোবাসে দুজনে বসে মোবাইল ফোনে ভিডিও গান দেখে। একপর্যায়ে গভীর রাতে (অনুমান ০২.০০টা) রাজু বলাৎকারের উদ্দেশ্যে চয়নকে জড়িয়ে ধরতে গেলে বিষয়টি বুঝতে পেরে চয়ন গাড়ি থেকে নেমে যায়। তখন রাজু “এমন কাজ আর করবোনা” বলে চয়নকে বুঝিয়ে আবার গাড়ির ভিতর ঢুকিয়ে মোবাইলে ভিডিও দেখতে দেয়। কিন্তু রাজু পুনরায় একই কাজ করার চেষ্টা করলে চয়ন ঘুম আসছে বলে গাড়ির পিছনের ছিটে গিয়ে শুয়ে পড়ে। পরে রাজু গাড়ির পিছনের ছিটে গিয়ে চয়নকে বলাৎকারের উদ্দেশ্যে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলে চয়ন বাধা দেয়। তখন রাজু চয়নের গলা গামছা দিয়ে পেচিয়ে ধরলে চয়ন শ্বাসরোধে মারা যায়।পরে রাজু হোসেন চয়নের মৃতদেহ বস্তায় ভরে এবং বস্তার ভিতর ০২ টি ইট দিয়ে বস্তার মুখ বেধে মাধবপুর গ্রামস্থ জলকার মাধবপুর ধোনারখাল কপোতাক্ষ নদের উত্তর পাড়ে নিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। মামলা তদন্ত অব্যহত আছে বলে জানা যায়।