রাংঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি। মোঃ হানিফ মিয়া।
মাত্র ছয়হাজার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে পটুয়াখালীর রাংঙ্গাবালী উপজেলায় দুইপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে মাঝের দেওর গ্রামে ইউপি সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
লাঠিসোটা নিয়ে করা ঘন্টা ব্যাপী হামলায় ৯ জনের নাম জানা গেছে তাদের অবস্থা গুরুতর সকলেই গলাচিপা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। তারা হলেন ইলিয়াচ গাজী(৫২) মিরাজ হাওলাদার (২২) নাজমুল গাজী (৩৫) সাদ্দাম গাজী (৩০) কবির হাওলাদার অপু হাওলাদার (১৯) কাওসার (১৯) মহব্বত নুরমিয়া। জানাগেছে গত শুক্রবার মৌডুবী বাইলাবুনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাওনা টাকা চাওয়ায় মোটরসাইকেল চালক নুরমিয়ার হাতে লাঞ্চিত হয়। পরে বিষয়টি ঐ শিক্ষক লিখিত ভাবে মৌডুবী ইউপি চেয়ারম্যানকে জানায়। স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৌডুবী মাঝের দেওর গ্রামের গাজী সফির ভাই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াচ গাজীর লোকজনের সাথে ঐ মটরসাইকেল চালক নুর মিয়ার লোকজন সংঘর্ষে জড়ায় ইউপি সদস্য ইলিয়াচ গাজী বলেন আমার ভাই ধারের পাওনা টাকা চাওয়ায় নুরমিয়া তাকে লাঞ্চিত করে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে লিখিত ভাবে যানানো হয়। বিগত কয়েকদিন হয়েগেলেও চেয়ারম্যান কোন সালিশ মিমাংসা করেননি। উল্টো নুরমিয়া লোকজন নিয়া গতকাল রাতে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনার জন্য সরাসরি চেয়ারম্যান দায়ী তিনি উক্ত হামলায় নেতৃত্ব দেন। আমার সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন চেয়ারম্যান সাহেব নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নজরুল মিয়ার ঘের মৌডুবী ইউনিয়নের স্লুইস গেট অবৈধ ভাবে দখল করেন। আমি প্রতিবাদ করেছি যে, এভাবে অন্যায় অনৈতিক কাজ হইতে দেয়া যাবে না। সেই থেকেই চেয়ারম্যানের সাথে আমার সত্রুতা হয়। গতকাল রাতে হঠাৎ তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আমি বাড়ী ফেরার পথে রাস্তা অবরোধ করে চাপাটি, রান্দা, বগি দিয়ে হামলা চালায় আমাদের অনেককেই মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় এতে প্রায় ১৫ জনের মাথা ফাটে এদের মধ্যে ৭ জন ঘটনাস্থালেই অজ্ঞান হয়ে প্রচুর ব্লেডিং হয়। ইলিয়াচ গাজী বলেন এ বিষয়ে থানায় যানানো হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
তবে এ বিষয়ে যানতে অপর পক্ষের নুরমিয়া সহ কাউকে পাওয়া যায়নি।
উক্ত বিষয় যানার জন্য মৌডুবী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ রাসেল এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন। আমি কাহারো ঘের দখল করি নাই। এবং ইলিয়াচ গাজী হচ্ছে আমার পরিষদের সদস্য তার সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই। আমি ঐ ঘটনার সাথে কোন ভাবেই দায়ী নই। রাংঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন আমরা ঘটনা যানার সাথে সাথে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। এ বিষয় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে বিষয়টি দেখব।
Leave a Reply