মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নাইমকেই দেখতে চান উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতা-কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করতে বিলম্বিত হওয়ায় দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে থেকে এ দাবি উঠে আসতে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ৯মে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় এবং জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্হিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন। সম্মেলনে তৃনমুলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে থেকে দাবি উঠে সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমকেই তারা পুনরায় সভাপতি হিসেবে দেখতে চান।
কিন্তু সম্মেলনে সভাপতি / সম্পাদকের নাম ঘোষণা না করেই সম্মেলন সমাপ্তি ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি। পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার কথা।
কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গতএক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও সভাপতি / সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নানা জল্পনা কল্পনার পাশাপাশি ধুম্রজালের সৃষ্ঠি হয়েছে।
কে হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি / সম্পাদক । এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার যেন শেষ নেই। কাকে দেয়া হবে সভাপতি / সম্পাদক। তাদের ব্যক্তি ইমেজ, ভারসাম্যতা, সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থানই বা কতটুকু। বিএনপির আন্দোলনের সময় নেতৃত্ব দেয়ার দক্ষতা, যোগ্যতা, সাহসিকতা আছে কার কতটা এ নিয়ে তৃনমুলের নেতা কর্মিদের মধ্যে চলছে চুলছিড়া বিশ্লেষণ।
ইতিমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়কে সভাপতি ও নবাগত মিজানুর রহমান মিলনকে সম্পাদক করা হয়েছে মর্মে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃনমূল নেতাকর্মিদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে বিষাদের ছায়া। তাদের মতে দলকে এগিয়ে নিতে হলে এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমকেই তারা সভাপতি হিসেবে দেখতে চান।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে ১৯৯১ সালে শিল্পপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমকে দলে আনেন তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ। পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। দুর্দিনে তিনিই দলকে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে ২০১৪ সালে ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে দ্বিতীয় দফায় তৃনমূলের নেতাকর্মীদের ভোটে তিনি পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময় পদ বঞ্চিত হয় কতিপয় নেতা। তারা পরবর্তী সময়ে নৌকার নির্বাচনে বিরোধীতা করেন। কেউ কেউ বিএনপি প্রার্থী অথবা বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।
নৌকার নির্বাচনে বিরোধিতাকারি ওইসব নেতারা বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে খাটি আওয়ামী লীগরার বনে গেছেন। তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করে এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমকে সরিয়ে দিয়ে দলকে নৃতৃত্ব শুন্য করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হক, হাতিবান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাওকাত জহির বাবুলসহ ৭ ইউনিয়নের সভাপতি/সম্পাদক ও ৬৩ ওয়ার্ডের তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তাদের এখন মূল দাবি হচ্ছে দুর্দিনে এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম যেহেতু দলের কান্ডারী ছিলেন সে হিসেবে তাকেই পুনরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চান তারা।
কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি / সম্পাদকের নাম ঘোষণা যতই বিলম্বিত হচ্ছে। তৃনমুলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে থেকে নাইমকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই সে দাবি ততই জোরালো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নেতা এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে গত প্রায় ৩০ বছর ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে বাকি জীবন কাটাতে চাই। জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যেতে চাই।