মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরায় সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের বুজরুক শ্রীকুন্ডি ঘোপডাঙ্গা পশ্চিমপড়া আব্দুল জলিল আদর্শ নুরানী ও হাফিজিয়া তালিমুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষক ও পরিচালক নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে ঐ মাদরাসার হিফজ বিভাগের পনেরো বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার মেয়েটিসহ পরিবারের অন্যান্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুজরুক শ্রীকুন্ডি ঘোপডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে নাজমুল হাসান ঐ মাদরাসার পরিচালক ও শিক্ষক। অন্যদিকে মেয়েটি গত জানুয়ারিতে ওই মাদরাসায় ভর্তি হয়। কিন্তু মাদরাসায় ভর্তির কিছুদিন পর থেকেই নাজমুল হাসান ওই মেয়েটিকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলো। শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি এতে বাধা দিলে নাজমুল হাসান বিষয়টি কাউকে না জানাতে তাকে ভয়ভিতি দেখায়।
এদিকে গত ১২ জুন রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে থাকা ঐ ছাত্রীকে কাজের কথা বলে ছাদে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দিয়ে শ্লিলতাহানি ঘটনায়। পরে মেয়েটি পালিয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়।
মেয়েটির মা জানান, বিষয়টি জানার পর মাদরাসার পরিচালক নাজমুল হাসানের কাছে গেলে তিনি এ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধের পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালিদের দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার শাস্তি হওয়া উচিত।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাগেছে নাজমুল ইতিপূর্বে একাধিক মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়ীতে অবস্থিত মাদরাসার পর যেয়ে অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাঁড়া না পাওয়া গেলে,ছাত্রী ভর্তির কথা বলে খবর দেওয়া হলে তিনি বেলকনিতে বেরিয়ে আসেন, সাংবাদিক বুঝতে পেরে গেইটে তালা লাগিয়ে তিনি পালিয়ে যান।পরে ফোন দিয়ে নানা উপঢৌকনের প্রস্তাব দিয়ে নিউজটি না করার অনুরোধ করেন।